ন্যাভিগেশন মেনু

শরীর সুস্থ-সবল রাখুন মাটির কলসির জলপানে


আগেকার দিনে ঘরে ঘরে মাটির কলসি থেকে জল পানের প্রচলন ছিল। তখন মানুষের অসুখ-বিসুখও কম হতো।

এখন মাটির কলসির জলপান অনেকে অবজ্ঞার চোখে দেখেন। এটা গরীব মানুষ ব্যবহার করে। মাটির কলসির পরিবর্তে এসেছে অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিক কলসি। যা স্বাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।

এই প্রজন্ম মাটির কলসির জলপানের কথা জানেই না।কেননা মাটির কলসি ব্যবহার করার চল অনেক আগেই উঠে গিয়েছে, তবে এর গুণাগুণ সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন  সবাই। 

মাটির কলসি, যা সাধারণত মটকা বলেই পরিচিত আমাদের কাছে। জানেন কি, এই মটকায় রাখা জল পান কতটা স্বাস্থ্যকর? হয়তো অবাক হচ্ছেন শুনে যে, বর্তমানেও মাটির কলসিতে জল রেখে খেতে হবে! কিন্তু এর গুণাগুণ প্রচুর।

জল ঠান্ডা থাকে:

মাটির কলসিতে জল ঠাণ্ডা হওয়ার কারণ মূলত বাষ্পীভবন। যখন কোন তরল পদার্থ বাষ্পীভূত হয় তখন তার উষ্ণতা হ্রাস পায়। 

বাষ্পীভবনের জন্য যে তাপের প্রয়োজন তা তরল পদার্থই সরবরাহ করে থাকে। তাপ হারানোর কারণে তরল পদার্থের উষ্ণতা কমে যায়। মাটির কলসি বানানোর সময় মাটির সঙ্গে খানিকটা বালি মেশানো হয় এবং এর গায়ে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। সেখান থেকেই মূলত বাষ্পীভন হয়ে জল ঠান্ডা থাকে।

গলা ভাল রাখে:

অনেক গায়ক-গায়িকাই রয়েছেন যাঁরা এখনও পর্যন্ত মাটির কলসিতে রাখা জল খান। এতে গলা ভাল থাকে। যাদের ঠান্ডার ধাত থাকে, তারাও মাটির কলসির জল নির্দ্ধিধায় খেতে পারেন।

সানস্ট্রোক হওয়া আটকায়:

মাটির কলসির জল রুখে দিতে পারে সানস্ট্রোককেও। আমাদের শরীরে সাধারণত ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের অভাবে সানস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কিন্তু মাটির পাত্র জলে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে এই জল পান করলে সানস্ট্রোকও আটকানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

মেটবলিজম বাড়ায়:

প্লাস্টিকের বোতলে থাকা জলে বিসফেলনের মতো টস্কিক, কেমিক্যালস থাকে। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। টেস্টরনের মাত্রাও হ্রাস পায়।

কিন্তু মাটির পাত্রের জল টেস্টরন ব্যালেন্স করার ক্ষমতা রয়েছে। যা শরীরের মেটবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।

এস এস