ন্যাভিগেশন মেনু

শার্শার কদমবিলে পাখির কলকাকলীতে মুখরিত


যশোরের শার্শা উপজেলার কদম বিল এখন অতিথি পাখির কলকাকলীতে মুখরিত। জেলার সীমান্তবর্তী  কদম বিলের দেড়শ’ গজ দূরে ভারতের কাটা তারের বেড়া। এ পারের কদম বিলে পাখির অভয়াশ্রম।

দুর্গাপুর কদম বিলে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পাখি।  এমন অপরুপ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে পাখি প্রেমী মানুষ।

বেনাপোল বন্দর থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে দূর্গাপুর গ্রামের কদম বিল। এ পারের কদম বিলে ৭৫ বিঘা মাছ চাষের জলাশয়ে গড়ে উঠেছে পাখির অভয়াশ্রম।

দূর্গাপুর গ্রামের সরাইল,পানকৌরি,ডংকুর পাখির কিচির মিচিরে মুগ্ধ হচ্ছে পাখি প্রেমী মানুষ। পাখির অভায়রণ্যে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে দর্শনার্থীরা।

প্রতিবছর শীতের সময়  বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন জাতের অতিথি পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে এ অভয়াশ্রমে আসে। এ অতিথি পাখিদের কেউ যাতে ফাঁদ পেতে ধরতে না পারে তার জন্য এ গ্রামের মানুষ পাহারা দিয়ে থাকে।

শার্শা প্রাণি সম্পদ অফিস থেকেও অতিথি পাখিদের তদারকি করা হয়। গ্রাম ও শহর থেকে আসছে মানুষ অতিথি পাখির অভয় আশ্রমে- প্রকৃতির দৃশ্য ও পাখি দেখতে। সন্ধ্যায় আসে হাজার হাজার পাখি-সকালে খাদ্যের সন্ধানে বের হয়। পাখির এ অভয়াশ্রম রক্ষায় গ্রামবাসিরা কাজ করছেন। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় ভোগান্তির শিকার হতে হয় পাখি প্রেমী মানুষের।

 উপজেলা প্রাণি সম্পদ  কর্মকর্ত ডা. জসিম উদ্দিন বলেনশীত আসলে বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি পাখি আমাদের দেশে আসে। শার্শা উপজেলায় কয়েকটি অতিথি পাখির অভয়আশ্রম গড়ে উঠেছে।

তবে উপজেলায় অনেক স্থানে পাখি শিখারীরা ফাঁদ ও এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার করছেন। তবে কদমবিলসহ বিভিন্ন এলাকায় পাখি সংরক্ষণে কাজ করছেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ।

এস এ / এস এস