ন্যাভিগেশন মেনু

শীতঘুম ছেড়ে রোদ পোহাচ্ছে চন্দ্রবোড়া


অনলাইন ডিজিটাল ডেস্কঃ সাপের আতঙ্কে রাতের ঘুম চলে গিয়েছে গ্রামবাসীদের। স্বাভাবিক নিয়মে শীতের সময় সাপ তার নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে গর্তকে বেছে নিয়ে শীতঘুম দিতে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের গোয়ালজোর গ্রামে ঠিক উলটো চিত্র দেখা গেল।

সেখানে শীতের দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্পকূলও গর্ত ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে এক ফালি রোদের আশায়। যদি রোদে শরীরটাকে একটু ‘ট্যান’ করা যায়! এই আশায় নিজেদের বাসস্থান ছেড়ে খোলা মাঠ কিংবা ধানক্ষেতই এখন প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে সর্পকুলের।

বিশেষ করে চন্দ্রবোড়া সাপেদের তো খুবই পছন্দের জায়গা ধানক্ষেত বা খোলা মাঠ যেখানে গেলে একটু রোদের ঝলকানি থাকবে। কিন্তু সাপেদের এই ভাল লাগা গ্রামবাসীদের রাতের ঘুম কেড়েছে।

সাপের উপদ্রব যতই বাড়ুক তবু তাকে মারার পথে হাঁটছে না এলাকার মানুষ। চাষীরাই প্রাণীকূলের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সাপ মারতে বাধা দিচ্ছে না। আর চাষীদের মধ্যে এই সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে চলেছেন ব্যান্ডেলের পশুপ্রমী চন্দন ক্লেমেন্ট সিং।

চন্দনবাবুই এই আতঙ্কিত মানুষগুলির মনে সাহস জুগিয়েছেন। তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছেন। গ্রামবাসীদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন কোনো প্রাণীর ক্ষতি না করলে সেও মানুষের কোনও ক্ষতি করে না। বর্তমানে চাষের জমি থেকে আমন ধান ঘরে তোলার পর এখন সেই ফাঁকা জমিই রোদ পোহানোর জন্য হয়ে উঠেছে সাপেদের স্বর্গরাজ্য।

তবে এই আতঙ্কের হাত থেকে গ্রামবাসীদের রক্ষা করার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছেন চন্দন। গ্রামবাসীরা তাই বিষাক্ত সাপ দেখলেই চন্দনের হেল্প লাইন নাম্বারে ফোন করে জানানোর ২০ মিনিটের মধ্যেই সেখানে তিনি পৌঁছে যাচ্ছেন।

তারপর সেই সাপকে ধরে কোনও জঙ্গল বা জনশূণ্য এলাকায় ছেড়ে দিয়ে আসছেন। গত কয়েক দিনে ১৫টিরও বেশি সাপ উদ্ধার করে চন্দন তাদেরকে জঙ্গলের স্বাভাবিক পরিবেশে ছেড়ে দিয়ে এসেছেন। উদ্ধার হওয়া সাপের মধ্যে অধিকাংশই বিষাক্ত চন্দ্রবোড়া।

চন্দন জানান, তাপমাত্রা হঠাৎ করে অনেকটা কমে গেলে রোদ পোহানোর জন্য বাইরে বেরিয়ে আসা সর্পকূলের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

এস এস