ন্যাভিগেশন মেনু

নিউইয়র্কে দেশী রাজনীতি গতিশীল হয় শেখ হাসিনার আগমনে


তোফাজ্জল লিটন, নিউইয়র্ক থেকে:

জাতিসংঘের সাধারন অধিবেশন উপলক্ষে প্রতিবছর নিউইয়র্কে আসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগে সভানেত্রী শেখ হাসিনা। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারনে ৭৫তম অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হবে ভার্চুয়ালি। তাই পৃথিবীর কোনো দেশের নেতৃবৃন্দ এবার নিউইয়র্কে আসছেন না।

প্রতিবছর নিউইয়র্কে শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও বিএনপি  নেতাকর্মীরা ব্যাপক উজ্জীবীত হয়। নিউইয়র্ক শহরের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ব্যানার-পোস্টার এবং নানা স্টেটের মানুষের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠে। নগরীর হোটেলগুলোতে রুম সংকট দেখা দেয়। এবার শেখ হাসিনা না আসায় অনেকটা স্থবির দেখা যায় রাজনীতির মাঠ। তবে ভার্চুয়ালি শেখ হাসিনা এবার ভাষণ প্রদান করবেন ২৬ সেপ্টেম্বর।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড.সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সারাবছর আমরা নানা দিবস পালনের মাধ্যমে নানাভাবে সক্রিয় থাকি। প্রতি সেপ্টেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আগমন আমাদের নেতা কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক গতিশীলতা তৈরী করে। প্রতিবারের মতো এবারও ব্যাপক আয়োজনে জননেত্রীকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিলো। এবারের জননেত্রীর আগমন আমাদের জন্য ছিলো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কথা ছিলো এবার এলে তিনি নতুন কমিটি দিয়ে যাবেন।

নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বাবু বলেন, সারাবছর আমরা অপেক্ষা করে থাকি শেখ হাসিনার আগমনের জন্য। এটা আমাদের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি। এই শহরে তাঁর উপস্থিতিতে ২৮ সেস্টেম্বর নেত্রীর জন্মদিন উদযাপন করি ব্যাপক আয়োজনে। জননেত্রী এবার নিষেধ করেছেন জকজমকপূর্ণভাবে পালন না করার জন্য। তারপরেও আমরা নেত্রী জন্মদিন পালন করার কর্মসূচি নিয়েছি।

বাংলাদেশে আওয়ামী যুবলীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ডাউনটাউন ম্যানহাটন বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো: রিয়াজুল কাদির লস্কর (মিঠু) বলেন, প্রবাসী একজন রাজনীতিক কর্মী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার আগমন আমাদের কাছে ঈদের মতো। যুক্তরাষ্ট্রের নানান স্টেট থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা আসেন। জামাত-শিবির-বিএনপি যেনো নেত্রীর বিরোধ্যে কোনো কিছু করতে না পারে আমরা ভ্যানগার্ডের মতো কাজ করি।

প্রতিবার শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে জ্যাকসন হাইটসে ৫ ফুট নৌকা তৈরী করে দেয়ালে সাজান ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী নান্টু মিয়া। তিনি বলেন, 'আমি ২০ বছর ধরে দেশে যাই না। প্রতিবার এই মাসে শুধু শেখ হাসিনাকে দেখতে পারতাম। তার সম্মানে নৌকা ও  ব্যানার বানাতাম। এবার কোনো কিছু করতে পারছি না। মাসজুড়ে যেনো আনন্দের বন্যা বইতো। সব কিছূ মনে করে আমার কান্না আসছে।'

এডিবি/