ন্যাভিগেশন মেনু

সংকটের মধ্যেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড


করোনায় স্থব্ধ হয়ে গেছে বিশ্বঅর্থনীতি। এর প্রভাব থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। করোনার প্রভাবে রপ্তানি হচ্ছে খুব কম। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও টাকা পাঠাচ্ছেন সামান্য। এমন সংকটের মধ্যেই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কিছু ঋণ ও অনুদান এলেও মূলত আমদানি কমায় রিজার্ভ বেড়েছে। যা আমাদের জন্য আশীবার্দ, করোনা পরিস্থিতির পর আবার ডলারের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবে। কেননা আমরা আমদানি নির্ভর দেশ। সংকট-পরবর্তী বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল, খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতে ডলারের দরকার হবে।‘

তিনি বলেন, ‘করোনা এ পরিস্থিতির মধ্যেই পুরাতন আমদানি দায় মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে ২০ কোটি ডলারের মতো মুদ্রা বিক্রি করতে হয়েছে। তবে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার কিছু ঋণ এসেছে। এছাড়া জাতিসংঘ থেকে সামান্য কিছু অনুদান দেওয়া হয়েছে। ফলে ডলার বিক্রির মধ্যেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩৩ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।’

এর আগে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০১৭ সালের ২২ জুন। এ বছরের শুরুতে চিনে করোনা সংক্রমণ দেখা দিলে আমদানি কমে যায়। তবে রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি থাকায় ব্যাংকগুলোর হাতে প্রচুর উদ্বৃত্ত ডলার জমা হয়।

এমআইআর/এডিবি