ন্যাভিগেশন মেনু

সাভারে রাবি শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার


সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শিমুলতলা এলাকা থেকে মোস্তাফিজুর রহমান (৩০) নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরা ওই যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে, পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

নিহত মোস্তাফিজুর রহমান রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি ২০১৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ থেকে মাষ্টার্স শেষ করে সাভারের কমলাপুর এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলে চাকুরী করতেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর এলাকার গ্লোরিয়াস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ যোবায়ের হাসান বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, মোস্তাফিজুর রহমান প্রায় ১ বছর যাবত ওই বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাম হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি গত বুধবার বিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে যান, এবং শনিবার তার বিদ্যালয়ে যোগদানের কথা ছিলো। তিনি সাভারের ডগরমোড়া এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘রাত ১০টার একটি গাড়িতে মোস্তাফিজ রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরে সকালে তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি।’

জানতে চাইলে সাভার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, ‘সকালে ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতের বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিলো।’

এদিকে মহাসড়কে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় যুবককে হত্যার কোন দৃশ্য পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারনে গতকাল রাত থেকে সকাল ৬ পর্যন্ত সিসিটিভ ক্যামেরা বন্ধ ছিলো। ধারনা করা হচ্ছে ঘটনাটি ভোর ৫ টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে। তবে নিহতের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

এনএম/ ওআ