ন্যাভিগেশন মেনু

সার্বিয়ার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ


সার্বিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসি রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান সার্বিয়ায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী মাজা গোকোভিচের (Ms. Maja Gojković) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রী মাজা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে বেলগ্রেডে তার অফিসে সাদর আমন্ত্রণ এবং রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করায় অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রদূত আহসান বাংলাদেশের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর পক্ষ থেকে সার্বিয়ার মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। 

রাষ্ট্রদূত আহসান বলেন দু’দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন,  দু’দেশের মধ্যে সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিনিময়ের যে সম্ভাবনা রয়েছে তা দু’দেশের মানুষকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে। 

তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে পারস্পরিক সহযোগিতার পথ সুগম হবে এবং জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

সার্বিয়ার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর ঢাকা এবং বেলগ্রেডের মধ্যেকার ঐতিহাসিক বন্ধনের কথা উল্লেখ করে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে মত দেন। এ সময় মন্ত্রী মিজ মাজার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

একইদিনে রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান সার্বিয়ার বাণিজ্য, পর্যটন ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মিজ তাতিয়ানা মাতিচের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রী মিজ তাতিয়ানা সার্বিয়ার রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং সার্বিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে সাফল্য কামনা করেন।

রাষ্ট্রদূত আহসান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সাবেক যুগোস্লাভিয়ার রাষ্ট্রপতি জোসেপ ব্রোজ টিটোর ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করেন। 

দু’দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনার কথাও উল্লেখ করেন। 

আহসান দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ‘দ্বৈতকর পরিহার’ এবং দু’দেশের চেম্বার/বণিক সমিতির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা যেতে পারে বলে প্রস্তাব করেন।

সার্বিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী আন্তরিকভাবে প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন এবং তার সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 

তিনি বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে সার্বিয়ান বিনিয়োগের বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় সার্বিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দূতাবাসের কাউন্সিলর এ এস এম সায়েম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এডিবি/