ন্যাভিগেশন মেনু

১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় হাইকোর্টের রুল


সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা এক মাসের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া এ ঘটনায় যে তদন্ত কমিটি হয়েছে তার রিপোর্ট ৩০ দিনের মধ্যে দাখিলেরও নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিকে মঙ্গলবার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন পদত্যাগ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী জানান, ‘এ ঘটনায় যেহেতু তদন্ত চলছে, তাই তদন্তের স্বার্থে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান পদ, সহকারী প্রক্টর পদ ও প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করেছেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেলকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী পদত্যাগের জন্য ক্যাম্পাসে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সংস্কৃতি ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ১৪ জন শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় রাতে বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র নাজমুল হোসেন তুহিন (২৫) ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন দায়িত্বে থাকা ৩টি পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

ওআ/