ন্যাভিগেশন মেনু

‘আমার আট মাস বয়সী শিশু সন্তান আছে, আমাকে ছেড়ে দাও’


মেরে ফেলার আগে নৌকার মাঝি আরজু শেখ (৩০) তার নিজের জীবন ভিক্ষা চেয়ে বলেছিলেন, ‘আমার আট মাস বয়সী শিশু সন্তান আছে। তোমাদের সাথে আমার কোন শত্রুতা নাই। আমি নৌকা চালিয়ে সংসার চালায়। আমাকে ছেড়ে দাও’।

পরে আরজু শেখের কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে না পেয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত বাইজিদ বোস্তামী (১৮) ও তার দুই বন্ধু আরজুকে হাত পা বেঁধে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে পানিতে ফেলে দেয়।

সোমবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় পুলিশে সুপারের কার্যালয়ে নাটোরের সিংড়ায় নৌকার মাঝি আরজু হত্যার ঘটনায় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।

অভিযুক্ত বাইজিদ গুরুদাসপুর উপজেলার বিলহরিবাড়ী এলাকার নাসির বোস্তামীর ছেলে।

এ সময় পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রায় ৭/৮ মাস আগে সিংড়ার চামারী ইউনিয়নের আনন্দনগর এলাকায় নারীঘটিত বিষয় নিয়ে আনন্দনগর এলাকার আদম আলীর ছেলে আরজু ও তার এলাকার লোকজনের সাথে অভিযুক্ত বাইজিদের হট্টগোল ও হাতাহাতি হয়। সেই শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে বায়োজিদ ও তার দুই বন্ধু গত ২৬ আগস্ট সিংড়ার তিশিখালী মাজারে যাওয়ার নাম করে ৭০০ টাকায় আরজুর নৌকা ভাড়া করে। পরে চলনবিলের বিলশা এলাকায় ফাঁকা জায়গায় আরজুকে দড়ি দিয়ে নৌকার সাথে বেঁধে ফেলে বাইজিদ ও তার দুই বন্ধু।

হত্যার পূর্বে আরজুর কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে অভিযুক্তরা। পরে টাকা না পেয়ে তাদের কাছে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আরজুর মাথার পেছনে কুপিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। পরে ২৮ আগস্ট পুলিশ গুরুদাসপুরের বিলসার হরদমা এলাকা থেকে আরজুর মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ঘটনার সাথে জড়িত বাইজিদকে গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কেআর/সিবি/এডিবি/