ন্যাভিগেশন মেনু

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বেনাপোলের মানুষ


ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে স্থলবন্দর বেনাপোলের মানুষজন। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বন্দরে পণ্য লোড-আনলোড করতে হিমসিম খাচ্ছে বন্দর শ্রমিকরা।

আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছিল দুই দিনের মধ্যে কমে আসবে শীতের দাপট। শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। এমনকি মাঝখানে একদিন ব্যারোমিটারে তাপমাত্রার পারদ খানিকটা উপরেও উঠেছিল। কিন্তু একদিনের ব্যবধানে পাল্টালো চিত্র। প্রতিদিনই তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।

পৌষ মাস শুরুর পর গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। প্রথম দিকে শুধু শীত পড়তে শুরু করলেও পরের দিকে উত্তরের হিমেল বাতাস বইতে আরম্ভ করে।

সেই সাথে গায়ে কাঁপন ধরানো হিমেল বাতাসের সাথে কুয়াশা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সকাল থেকেই মেঘে ঢাকা থাকছে সূর্য্য। সেই সাথে হিমশীতল বাতাসের সাথে কুয়াশা। তবে সোম ও মঙ্গলবার বেলা একটার পর রোদের দেখা মিললেও রোদের তেমন তাপ নেই। কিন্তু বিকেল গড়াতে থাকলে রোদ কমতে থাকায় ফের শীতের দাপট শুরু হয়। সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে যায়।

এদিকে টানা কয়েক দিনের শীতে কাবু হয়ে পড়েছে বেনাপোল স্থলবন্দরে জনজীবন। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঠে থাকা ফসলের জন্যও বিপদ ডেকে এনেছে। স্থানীয়রা বলছেন, পৌষের গায়ে কাঁপন ধরানো এই শীত অসহনীয় হয়ে উঠেছে। শীত সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গরম কাপড়েও প্রশমিত হচ্ছে না মারাত্মক এই শীত। ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহের তীব্রতায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে বসা স্বল্প মূল্যের পুরাতন কাপড় কেনার জন্য দোকানগুলোতে ভীড় জমাচ্ছে শীতার্ত মানুষ। নিজেদের সাধ্যমত কিনছেন সামান্যতম শীতবস্ত্র। গরম কাপড়ের অভাবে যেন শীতের সময় সন্তানরা কষ্ট না পান তাই অল্প টাকা দিয়ে সন্তানদের জন্য গরম পোশাক কিনছেন।

সন্ধ্যার পরে প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। তীব্র শীতের কারণে দিনমজুররা কাজকর্ম তেমন না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে নিম্নবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট সীমাহীন আকার ধারণ করেছে।

ওয়াই এ/ এস এস