ন্যাভিগেশন মেনু

রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশে রঙিন ঘুড়ি


চীনের ওয়েইফাং মানে ঘুড়ির শহর। কারণ এ শহরটি ঐতিহ্যগত ঘুড়ি উৎসবের জন্য বেশ বিখ্যাত। আর এ উৎসব মূলত ওয়েইফাংয়ে শুরু হলেও দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও উদযাপিত হয়ে থাকে। সম্প্রতি দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের কয়েকটি অঞ্চলেও হয়ে গেল এ উৎসব। শ্রম দিবসের ছুটি কাটাতে যারা ঘুরতে এসছিলেন তাদের আনন্দে ভিন্নমাত্রা যোগ করে এ ঘুড়ি উৎসব।     

গেল সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সিচুয়ান প্রদেশের লেশান শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ঘুড়ি উৎসব। সেখানে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ অংশ নেন। স্থানীয় পর্যায়ের এই আয়োজন উপভোগ করতে গ্রামগুলো থেকে ছুটে আসেন অনেকেই। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রিয়জনদের সঙ্গে ভালো সময় কাটে তাদের। অনেক অভিভাবকও সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে ঘুড়ি তৈরি করেন।     

এদিকে, মৌচি শহরের কুআরবা ক্যাম্প গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুদিনব্যাপী ঘুড়ি উৎসব।  বিভিন্ন আকৃতির ঘুড়ি দিয়ে হাটার পথগুলো সাজানো হয়। 

এ ছাড়া করিডোরের দুই প্রান্তে পাঁচ মিটার লম্বা দুটি ঐতিহ্যবাহী ঘুড়িও রাখা হয়।  এগুলো দেখে ছোট্ট শিশুরা খুব আনন্দ পায়। পর্যটকদের তৈরি এবং উড়ানো ঘুড়ি ছাড়াও, ৩০০ মিটার লম্বা ক্লাস্টার ঘুড়ি এবং ৩০ -মিটার লম্বা রশ্মি-আকৃতির ঘুড়িসহ কিছু পেশাদার দল দ্বারা উড়ানো বড় ঘুড়িগুলি আকাশে একটি রঙিন দৃশ্যপট তৈরি করে। 

চীনের শানতুং প্রদেশের ওয়েইফাং শহরকে ঘুড়ির রাজধানী বলা হয়ে থাকে। কারণ প্রতিবছরের ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ৫ দিন ধরে চলে ঘুড়ি উৎসব। এ উৎসবে অংশ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন ঘুড়িপ্রেমীরা। এ উৎসবে বিভিন্ন শৈলীতে তৈরি করা ঘুড়ির দেখা মিলে। তবে করোনা মহামারীর কারণে গত দু’বছরের মতো এবারো বাইরে থেকে আসতে পারেননি কোনো পর্যটক কিংবা প্রতিযোগী।  ১৯৮৪ সাল থেকে প্রতি বছর ওয়েইফাং আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উৎসব হয়ে আসছে। (সূত্র: সিএমজি)