ন্যাভিগেশন মেনু

চুয়াডাঙ্গায় কোরবানির চামড়া নিয়ে বিপাকে ক্রেত-বিক্রেতারা


চুয়াডাঙ্গায় কোরবানির চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে ক্রেতা বিক্রেতারা। ছাগলের চামড়ার দাম ২০ টাকা আর গরুর চামড়ার দাম ২০০ টাকা। 

এত কম দামে চামড়া বিক্রি হলেও ক্রেতার দেখা মিলছে না। নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে নাম মাত্র দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা।

অন্যদিকে, চামড়ার দাম কম থাকায় এতিমখানা ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নিজেরাই লবন দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করছেন বেশি দামে বিক্রির আশায়। ফলে চামড়ার আড়তগুলোতে চামড়া কম আসছে। এ বছর চামড়া ব্যাবসায়ীদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছে তারা। 

জানা যায়, কোরবানির ঈদে জেলায় ৯০ হাজার থেকে এক লাখ পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল। করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ মানুষ কম কোরবানি দিয়েছেন এবার। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার চামড়ার দাম একেবারেই কম। একটি ছাগলের চামড়া আকার ভেদে ২০ টাকা আর গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। 

খুচরা চামড়া বিক্রেতারা বলছেন, আড়তে নিয়ে চামড়া বিক্রি করলে গাড়ি ভাড়ার টাকা উঠছে না। তাই চামড়া বিক্রির জন্য না নিয়ে ফেলে দিলেই ভাল হতো। 

এতিমখানা ও মাদ্রাসাগুলো চামড়ার দাম ভাল না পাওয়ায় নিজেরাই লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করছেন বেশি দামে বিক্রির আশায়। চামড়া নিয়ে সবাই কষ্টের মধ্যে রয়েছে। কোরবানির চামড়া এখন গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে। 

চুয়াডাঙ্গা দাসপাড়ার চামড়া আড়তদার বাবলুসহ অনেকেই জানান, ট্যানারিতে দেওয়া গত বছরের চামড়ার টাকা এখনও ট্যানারি মালিকরা দেয়নি। এ বছর ধার দেনা করে চামড়া কিনেছি। কি হবে জানি না। লেবার খরচ অনেক বেশি। গরুর একটি চামড়া আকার ভেদে ২শ' টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে ক্রয় করেছি।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোডিং (এতিম খানা) কর্তৃপক্ষরা জানান, কোরবানির ঈদে আমরা প্রচুর চামড়া পেয়ে থাকি। ওই সব চামড়া বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানের অনেক কাজ করা হয়। কিন্তু এ বছর চামড়ার দামে আমরা হতাশ। এবার ছাগলের চামড়া মাত্র ২০ টাকা, আর প্রকার ভেদে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর চামড়া। তাই এবারের চামড়া বিক্রি না করে নিজেরাই লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করছি বেশি দামের আশায়। যদি নির্দিষ্ট সময় বিক্রি করতে না পারি তা হলে মাটিতে পুতে ফেলা ছাড়া উপায় থাকবে না।

এন আই/এডিবি