ন্যাভিগেশন মেনু

করোনাশূন্য মুম্বইয়ের ঘিঞ্জি ধারাভি! কোন পথে এল সাফল্য


অবশেষে সুখবর। সমস্ত আশঙ্কাকে মিথ্যে প্রমাণ করে আরও একবার করোনাজয়ী মুম্বইয়ের ধারাভি  বসতি। এশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল বসতি ধারাভিকে নিয়ে গত বছর থেকেই আশঙ্কা ছিল।

কিন্তু অতিমারীর প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা গত বছরের শেষে করোনাশূন্য হয়ে গিয়েছিল ধারাভি। কিন্তু মাস দেড়েকের মধ্যেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপে ফের শুরু হয় সংক্রমণ। তারপর ক্রমেই বাড়ছিল সংক্রমণ। অবশেষে গতকাল, সোমবারের হিসেব বলছে ফের করোনাশূন্য ধারাভি। কিন্তু কীভাবে সম্ভব হল এই বিজয়?

এর পিছনে আসল কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে আমজনতার সচেতনতা ও প্রশাসনের নিপুণ তৎপরতাকেই। বৃহন্মুম্বই পুরসভার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৮৬১ জন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় এই চার মাসেই আক্রান্ত ২ হাজার ৯০০ জন।

অর্থাৎ প্রায় ৪২ শতাংশ সংক্রমণ এই কয়েক মাসে দেখা গিয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারিতে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর মার্চের শুরুতেই দৈনিক অন্তত ৫০ জন‌ করে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। ফলে এখানকার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট একমাত্র কোয়ারান্টাইন সেন্টারটি একদম ভরতি হয়ে যায়।

দ্রুতই আরও দু’টি কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র খোলা হয়। সেই সঙ্গে স্থানীয় ওয়ার্ড অফিসারের নেতৃত্বে খোলা হয় একাধিক ফিভার ক্লিনিক। চলতে থাকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা। সেই সঙ্গে মানুষের সচেতনতাও নজরে পড়ে। প্রশাসন গত ২২ মার্চ থেকে ‘ছোটা সিওন হাসপাতালে’ টিকাকরণ শুরু করলে প্রথমে ভিড় অল্প থাকলেও ক্রমেই বেড়ে যায় টিকাকরণের গতি।

ফলে এপ্রিলে একবার দৈনিক সংক্রমণ ৯৯ জনে পৌঁছলেও দ্রুত নামতে থাকে সংক্রমণের গ্রাফ। মে মাস থেকেই সুফল মিলতে থাকে। দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কমে যায়। অবশেষে করোনাকে হারাতে সমর্থ হল ধারাভি।

অত্যন্ত ঘিঞ্জি এই বসতির বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ। ‘কমন’ শৌচালয়, মাত্র কয়েক ফুটের দূরত্বে ঘরবাড়ি— সব কিছু মিলিয়ে করোনা আবহে ধারাভিকে নিয়ে প্রশাসনের চিন্তার অন্ত ছিল না। করোনার প্রথম ঢেউ এদেশে আছড়ে পড়ার পর থেকেই আশঙ্কা ছিল, করোনার ‘হটস্পট’ না হয়ে ওঠে এই বস্‌তি এলাকা। কিন্তু আবারও সেই আশঙ্কা দূর করে বিপন্মুক্ত হল ধারাভি।

এস এস