পাবনার ঈশ্বরদীতে আনোয়ারা খাতুন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের চারা বটতলা এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আনোয়ারা খাতুনের স্বামীর নাম হাবিবুর রহমান।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, নিহত আনোয়ারা খাতুনের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। চাকুরি ও ব্যবসার কারণে তারা ঢাকায় বসবাস করেন। আনোয়ারা খাতুন ভারসাম্যহীন স্বামীকে নিয়ে ঈশ্বরদীতে নিজ বাড়িতে থাকতেন।
এলাকাবাসী জানান, বয়স্ক এই দম্পতি ছেলে-মেয়ে ছাড়াই বসবাস করতেন। এই বাড়িতে এর আগে চুরির ঘটনাও ঘটেছে। অনেকে জানতেন ভারসাম্যহীন এক বৃদ্ধ তার বয়স্ক স্ত্রীকে নিয়ে এই বাড়িতে বসবাস করেন। ভালো মানুষ হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু এই বয়সে নির্মমভাবে কেন বৃদ্ধাকে মারা হলো কিছুই বুঝতে পারছি না।
নিহতের ছেলে আনিস জানান, বুধবার সকাল থেকে তার মায়ের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ হয়নি। পরে তারই এক বন্ধুকে বিষয়টি জানানো হলে সন্ধ্যায় বাড়িতে গিয়ে দেখেন রান্না ঘরে বৃদ্ধার রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন ছুটে আসে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
তিনি আরও জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসড হয়ে বিছানায় আছেন। একা নড়াচড়া করতে তিনি পারেন না। অন্যের সাহায্য নিয়ে তাকে চলতে হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রান্না ঘর থেকে বৃদ্ধার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন, কি কারণে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। তবে হত্যার কারণ জানতে এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
যে এইচ/ এস এ/ওআ