ন্যাভিগেশন মেনু

ঈশ্বরদীতে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে মানুষের ভীড়


পাবনার ঈশ্বরদীতে করোনা টিকার জটিলতা কাটিয়ে আবারও ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সাত ইউনিয়নের টিকাকেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।

টিকার জন্য মানুষ কেন্দ্রে ভিড় জমাচ্ছে এবং সিরিয়ালে থেকে টিকা নিচ্ছেন। তবে নিবন্ধন করে টিকা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন ঈশ্বরদীর ৬৫ হাজার ৩১৫ জন মানুষ।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় টিকা পাওয়ার অপেক্ষায় নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন। তবে সুষ্ঠুভাবে টিকা দেওয়া কার্যক্রম চলছে বলে জানান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তারা।

দেশের শহর থেকে গ্রামের প্রান্তিক মানুষকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখার জন্য সরকার ইউনিয়ন পর্যায়ে গত ৭ আগস্ট থেকে গণহারে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। ঈশ্বরদীর প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি করে টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। টিকার স্বল্পতা কাটিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে আবার দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান শুরু করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এফ এ আসমা খান।

ডা. আসমা খান বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কার্যক্রম ও নমুনা পরীক্ষা অব্যাহত রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হলেও টিকার জটিলতার কারণে কিছুদিন বন্ধ ছিল। টিকা পাওয়ায় গত রবিবার থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া শুরু করা হয়েছে।

তিনি জানান, উপজেলার সাত ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি করে মোট ২১টি টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে টিকাপ্রদান কার্যক্রম চলছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নাজনীন আফরোজ জানান, বুধবার পর্যন্ত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৯২ হাজার ৯৯১ জন। যা এক মাসের ব্যবধানে নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়েছে দুই গুন। গত আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত নিবন্ধনের সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার।

তিনি আরও জানান, বুধবার পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়া হয়েছে মোট ৪৮ হাজার ৯২৫ জন মানুষকে। এরমধ্যে সিনোফার্মের ২৬ হাজার ৬৬৫ ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা রয়েছে ২২ হাজার ২৬০। আর টিকা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন ৬৫ হাজার ৩১৫ জন। ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৬২ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

জেএইচ/সিবি/এডিবি/