ন্যাভিগেশন মেনু

স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে পুলিশের প্রতি আহ্বান


দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি স্বাধীনতা রক্ষা এবং গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে কাজ করার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজবারবাগ পুলিশ লাইন্সে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২২’ উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, মনে রাখবেন জাতির পিতার দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, যা আমাদেরকে এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আপনাদের পূর্বসূরীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা সকল আঘাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার বিশ্বাস জনবান্ধব পুলিশিং এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, গণতন্ত্র সমুন্বত রাখতে প্রত্যেক পুলিশ সদস্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। সর্বোপরি পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠান বাংলাদেশ পুলিশকে শান্তির সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে নব উদ্যমে কাজ করতে প্রেরণা জোগাবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার ভাষণের উদ্ধৃতি তুলে ধরে পূর্বসূরীদের ঐতিহ্য ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্যও পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।

১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি রাজারবাগে প্রথম পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানের ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘এই রাজারবাগে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাঁদের কথা মনে রাখতে হবে। তারা আপনাদেরই ভাই, তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায়।

বিএনপি’র ধংসাত্মক কর্মকান্ড স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের অগ্নিসন্ত্রাস, বৃক্ষ কর্তন, রাস্তা কেটে ফেলা- নানান ধরনের কাজ তারা করেছে, এমনকি পুলিশের উপর আক্রমণ করেছে। যেভাবে পুলিশের সদস্যদের তারা নির্মমভাবে মেরেছে সেটা সত্যিই ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ করে তারা দেশে একটা অশান্ত পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিল। কত মানুষকে তারা হত্যা করেছে তার কোন সীমা নেই।

তিনি সে সময় সহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকবেলায় পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, সেই সময় পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করে মানুষের জীবনে শান্তি নিরাপত্তা নিয়ে এসেছে। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তারা কাজ করেছেন।এ জন্য সবাইকে তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ সদস্যদের আর্তমানবতার সেবায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় প্রধানমন্ত্রী তাঁদের  প্রশংসা করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে পুলিশ বাহিনীর অংশ গ্রহণ বিশেষ করে নারী সদস্যদের দায়িত্ব পালনেরও প্রশংসা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব মন্দার পর এসেছে করোনা, এত প্রতিকূলতার মাঝেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে প্রায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে, ব্যাপকভাবে যোগোযোগ ব্যবস্থা এবং আর্থসমাজিক উন্নয়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো আধুনিক করে দিচ্ছে এবং দায়িত্ব পালনে বিশেষ সুবিধার সৃষ্টি করে দিচ্ছে সরকার, বলেন তিনি।

তাঁর সরকার এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চায় উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য।