ন্যাভিগেশন মেনু

এ সময়ে চুলের যত্ন নিবেন যেভাবে


নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই চুলের সৌন্দর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, স্বাস্থ্যবান সুন্দর চুল শুধু আমাদের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না আমাদের ব্যক্তিত্বের ওপরেও প্রভাব ফেলে।

আমাদের একেকজনের চুলের ধরন একেক রকম। তাই চুলের ধরন অনুযায়ি যত্ন নেবার কৌশলও আলাদা হয়। কিন্তু চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নারী ও পুরুষ উভয়রই বিশেষ ৫টি বিষয় মেনে চলা জরুরি। আসুন জেনে নেওয়া যাক চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে জরুরি বিষয়গুলো।

চুলের ধরন বুঝে হবে যত্ন

১. রুক্ষ চুলের যত্ন:

ড্রাই হেয়ার বলতে নরমালি আমরা রুক্ষ, শুষ্ক, সহজে জট বাঁধে এমন চুলকেই বুঝি। টিনেজারদের এই ধরনের হেয়ার হলে, হেয়ার কেয়ারে অবশ্যই একটু বেশী খেয়াল দিতে হবে। কারন, এই ধরনের চুল জট বাঁধে এবং ভেংগে যায় বেশী।

ড্রাই হেয়ারে শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না।  ১২-১৪ বছর থেকেই ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্টসযুক্ত ভালো ব্র্যান্ডের কন্ডিশনার ইউজ করা যেতে পারে। ড্রাই হেয়ারে অবশ্যই কালারিং, হিট স্টাইলিং টুলস ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। এই বয়সে হিট স্টাইলিং টুলস ব্যবহার না করাই ভালো। সপ্তাহে একদিন ন্যাচারাল ইনগ্রিডিয়েন্টস দিতে বানানো একটা হেয়ারপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

২. চুলের যত্নে তেল:

যাদের হেয়ার তৈলাক্ত, তাদের নরমালি চুলের গোড়ায় তৈলাক্ত এবং চিটচিটে হয়ে যেতে দেখা যায়। যেমন, আপনি আজ শ্যাম্পু করলেন, কাল দেখলেন চুল অনেক বেশি তেল চিটটিটে লাগছে। 

টিনেজাররা এই ধরনের চুল বলে কিন্তু অবশ্যই ঘন ঘন শ্যাম্পু করবেন না। এতে করে চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যেতে পারে। চুলে শ্যাম্পু করার সময় দরকারে দুইবার শ্যাম্পু করে নিবেন মাইল্ড বা হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে। এরপর চুলের আগায় কন্ডিশনার লাগাবেন, গোঁড়াতে না কিন্তু। চুলের গোড়া বেশি অয়েলি হয়ে গেলে সামান্য ট্যালকম পাউডার বা বেবি পাউডার চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিলেই তৈলাক্তভাব দূর হয়ে যাবে। তৈলাক্ত চুলেও টিনেজাররা সপ্তাহে ১ দিন ন্যাচারাল হেয়ারপ্যাক লাগাতে পারবে।

৩. চুলের জন্য সঠিক শ্যাম্পু বেছে নেওয়া:

শ্যাম্পু নির্বাচনে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। হুট করে কাউকে দেখেই একটা শ্যাম্পু কিনে বা বাড়ির বড়দের জন্য যে শ্যাম্পু কেনা আছে, তা ব্যবহার করলেই হবে না। সবসময় পিএইচ ব্যালেন্সড শ্যাম্পু ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এছাড়া কেরোটিন, এসেনশিয়াল অয়েল সমৃদ্ধ ভালোমানের একটা মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। এই ধরনের শ্যাম্পুগুলো চুলের ন্যাচারাল অয়েল অপসারণ করে ফেলে চুলকে রুক্ষ বানিয়ে দিবে না। আর ৭-১০ বছর পর্যন্ত বেবিদের জন্য ফরমুলেটেড শ্যাম্পুও ভালো অপশন।

চুলের যত্নে প্রাথমিক কিছু পরামর্শ

# চুল অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। সপ্তাহে ২-৩ দিন শ্যাম্পু করতে পারেন প্রয়োজন অনুসারে।

# চুলে পুষ্টি যোগাতে সপ্তাহে ২-১ দিন চুলে তেল লাগাতেই হবে। তবে জোরে ঘষাঘষি করবেন না ভুলেও।

# চুলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করে স্বাভাবিকভাবে চুল শুকিয়ে নেওয়া ভালো। চুল আঁচড়ানোর জন্য অবশ্যই মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করবেন।

# হিট স্টাইলিং টুলসগুলো থেকে চুলকে যতসম্ভব দূরে রাখতে হবে। এখনই যদি চুলকে নষ্ট করে ফেলেন, তবে ভবিষ্যৎ এ চুলের অবস্থা কী হবে একবার ভেবে দেখবেন। চুলে স্টাইলিং ন্যাচারালভাবেও করা যায়। ইন্টারনেট ঘাটলেই হিট স্টাইলিং টুলস ছাড়া হেয়ার স্টাইলিং করার অনেক উপায় দেখতে পাবেন।

# প্রতি ২-৩ মাস পর পর চুলের আগা ছাঁটবেন। এতে করে চুলের আগা ফাঁটা দূর হবে, চুল দেখতে হেলদি লাগবে।

# শুধু উপর থেকে যত্নই কিন্তু যথেষ্ট নয়। ভেতর থেকে যত্ন নেওয়াটাও কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অবশ্যই আপনাকে প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। ফাস্টফুড, বাইরের খাবার কম খেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে কিন্তু চুলের স্বাস্থের জন্য খুবই জরুরী। এছাড়া, চুলে কোনো সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

এই তো জেনে নিলেন টিনেজ হেয়ার কেয়ার সম্পর্কে। আশা করছি আপনারা এ সময়ে চুলের যত্ন সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারনা পেলেন। ভালো থাকুন!

সিবি/এডিবি