ন্যাভিগেশন মেনু

আশুলিয়ায় দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণ: ১০ জনকে আসামি করে মামলা


সাভারের আশুলিয়ায় দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণের ঘটনায় স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বড়বোন। এ ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আরও ৯ কিশোর পলাতক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এমদাদ হোসেন।

এর আগে বুধবার (৭ অক্টোবর) রাতে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার আসামিরা হলো - নড়াইল জেলার কালিয়া থানার মহিষখোলা গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে সারুফ (১৮), আল আমিন ওরফে সাধু মার্কেট আল আমিন (১৯), গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানার বাগবাড়ি এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে ডায়মন্ড আল আমিন (১৮), রংপুর জেলার পীরগাছা থানার প্রতাববিষু গ্রামের আনছার আলির ছেলে জাকির হোসেন (১৮), ভাদাইল এলাকার দেলু হাজীর বাড়ির ভাড়াটিয়া রেজাউল ইসলামের ছেলে রেদওয়ান (১৯), ভাদাইল এলাকার আক্কাস আলী মার্কেট এলাকার বাদশা (১৮), ভাদাইলের পবনারটেক ক্লাবের জাকিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া জিহাদ (২০), ভাদাইলের পবনারটেক এলাকার সরব আলীর ছেলে আল আমিন ওরফে গরু আল আমিন, আলুর মার্কেট এলাকার করম আলীর ছেলে আল আমিন ওরফে বাটা আল আমিন (১৯), ভাদাইলের সাধু মার্কেট এলাকার মান্নানের বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহজালালের ছেলে শাকিল (১৯) সহ অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বড়বোন। এর মধ্যে সারুফ, রাকিব, জাকির ও ডায়মন্ড আল আমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, ‘গত ৩০ আগস্ট আশুলিয়ার ভাদাইল পবনারটেক এলাকায়  বান্ধুবীসহ চাচা ইসরাফিল ও আতোয়ারকে সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে যায় দুই কিশোরী। এ সময় ১২ সদস্যের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা চাচা ও আতোয়ারকে আটকে রেখে দুই কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায়। এসময় চাচা বাঁধা দিলে তাদের ছুরি ও চাকু দেখিয়ে মারধর করে জোরপূর্বক ঝোপের মধ্যে নিয়ে যায়। পরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে ভিডিওটি স্থানীয়ভাবে ফাঁস হলে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় মিমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে ভয়ে ভুক্তভোগীরা এলাকা থেকে আত্মগোপন করে।’

ফাঁস হওয়া স্থির ছবিতে দেখা যায়, ‘একজন কিশোরীর দুই পা চেপে ধরে রেখেছে। আরেক কিশোর ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করছে।’

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এমদাদ হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় ধারণকৃত ভিডিও'র দুটি ছবির (স্ক্রিনশট) সূত্র ধরে চার ধর্ষণকারীকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয় পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

ওয়াই এ/ এডিবি