ন্যাভিগেশন মেনু

ভাওয়ালে উঠান খুঁড়তে গিয়ে মিললো গুপ্তধন


রাজধানী থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে ভাওয়াল পরগণা। স্ত্রীর বিশ্বাসঘাতকতায় ভাওয়াল রাজা ২৪ বছরের মেজকুমার রমেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরীর অনেকটা মৃত্যুর ফেরা ও সন্নাসব্রত গ্রহণ অনেকেরই জানা। রাজার স্ত্রী বিভাবতীর পরকীয়া কারণে বিষ খাইয়ে ভাওয়াল রাজাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছিল।

শ্মশানেও দাহ করতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দৈবগুণে প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে দাহকাণ্ডে বিলম্ব ঘটে। বৃষ্টির কারণে ভাওয়াল রাজার দেহের বিষক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়। প্রাণে বেঁচে যান ভাওয়াল রাজা। গত শতাব্দীর গোঁড়ার দিকের এ কাহিনীর ঢেউ তখন ভাওয়াল পরগণা ছাড়িয়ে ভারত এমনকি টেমস নদীর তীরে লন্ডন শহরে গিয়েও আছড়ে পড়ে। 

১৯০৯ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি চিকিৎসার জন্য মেজকুমার রমেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী পারিবারিক সিদ্ধান্তে ভারতের দার্জিলিং যান। সঙ্গী হন ২০ বছরের স্ত্রী (মেজরাণী) বিভাবতী দেবী, বিভাবতীর ভাই সত্যেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী, পারিবারিক চিকিৎসক আশুতোষ দাসগুপ্ত এবং ব্যক্তিগত কর্মচারি মিলে ২৭ জন। সেখানেই ষড়যন্ত্রের শিকার হন রমেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী।

যাইহোক ভাওয়াল এখন গাজীপুর জেলা হিসেবে পরিচিত। সেখানেই মিলেছে গুপ্তধন। আর  গুপ্তধন কপালে মেলা মানে হঠাৎ অনেক ধনসম্পদের মালিক বনে যাওয়া। তাই অসংখ্য মানুষ গুপ্তধনের সন্ধানে ছুটে বেড়ায় দিগ্বিদিক। দেশে দেশে গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার ঘটনা কিন্তু একেবারেই কম নয়। 

জয়দেবপুর উপজেলায় একটি বাড়ির উঠান থেকে ১০০ বছরের পুরানো গুপ্তধন উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সদরের দিগধা গ্রামে দীগেন মল্লিকের বাড়ির উঠানের মাটি কাটার সময় শ্রমিকরা ওই গুপ্তধন খুঁজে পান। 

এসময় সেখান থেকে ৩০ ভরি ওজনের ৩০টি রুপার মুদ্রা পাওয়া যায়। 

দুপুরে দীগেন মল্লিকের বাড়ির উঠানের মাটি কাটার সময় শ্রমিক উদ্রিসের কোদালে আঘাত লাগে। পরে দুটি ধাতব পাত্র থেকে একে একে বেরিয়ে আসে ৩০টি শতবর্ষী রূপার মুদ্রা। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। জয়দেবপুর থানার বাড়িয়ার আমতলী ফাঁড়ির এসআই আশরাফ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩০টি রূপার মুদ্রা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

ওই রূপার মুদ্রার গায়ে খোদাই করে লেখা আছে ইন্ডিয়ান ওয়ান রুপি ১৯০৭, ১৯১২, ১৯১৪ ও ১৯১৬ সাল। তাই মুদ্রাগুলো ১০০ বছরের পুরানো সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

বাড়িয়ার আমতলী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আশরাফ জানান, শতবর্ষী রূপার মুদ্রাগুলো গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। 

এস এস