ন্যাভিগেশন মেনু

শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকল দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিৎ: চীন


জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের উপ-প্রতিনিধি তেই বিং ৬ সেপ্টেম্বর শান্তি ও সংস্কৃতি বিষয়ক উচ্চস্তরের ফোরামের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন। 

বক্তব্যে তিনি জোর দিয়ে বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিৎ। 

তেই বিং বলেন, “এবারের ফোরামের প্রতিপাদ্য হলো শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এটি বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে বাস্তব ও তাৎপর্যপূর্ণ।” 

এ বিষয়ে তিনি চীনের তিনটি মতামত তুলে ধরেন। প্রথমত, প্রত্যেকটি দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা এবং নিজ নিজ দেশের নীতি মেনে চলা উচিৎ। যে কোনও দেশের সরকার হলো সংশ্লিষ্ট দেশের জনগণের প্রতিনিধি, শান্তি প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি, সংঘর্ষ ও সংকট মোকাবিলা, উন্নয়ন ও পুনর্নির্মাণ বেগবান ও সামাজিক ঐক্য প্রতিষ্ঠার মূল শক্তি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিৎ দ্বন্দ্ব-পরবর্তী দেশগুলোকে তাদের শাসন ক্ষমতা জোরদার করতে, সামাজিক ঐকমত্য তৈরি করতে এবং তাদের নিজস্ব জাতীয় অবস্থার সাথে মানানসই একটি উন্নয়নের পথ গ্রহণ করতে সহায়তা করা। 

দ্বিতীয়ত, উন্নয়নের মাধ্যমে শান্তির প্রচারের উপর জোর দেওয়া এবং স্থায়ী শান্তির ভিত্তিকে সুসংহত করা উচিৎ। বর্তমানে মহামারী বিভিন্ন দেশের উন্নয়নের অর্জনকে গ্রাস করছে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধার মন্থর হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ-২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়ন কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিৎ সক্রিয়ভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে, বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোকে শিল্পায়ন ও আধুনিকায়ন এগিয়ে নিতে এবং ক্রমাগত অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের নমনীয়তা শক্তিশালী করতে সহায়তা করা।

তৃতীয়ত, সভ্যতার সহনশীলতা ও একে অপরের কাছ থেকে শেখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া এবং শান্তিপূর্ণ সংস্কৃতির পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিৎ। 

তেই বিং আরও বলেন, চীন বরাবরই বাস্তব ব্যবস্থার মাধ্যমে শান্তির পথ অনুসরণ করে থাকে। চীন আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে অব্যাহতভাবে বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে শান্তি নির্মাণকে সমর্থন, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি বাস্তবায়ন এবং মানব জাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গঠনে ইচ্ছুক বলে তিনি উল্লেখ করেন। (সূত্র: সিএমজি)