ন্যাভিগেশন মেনু

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুল্লি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী


পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) প্রথম রিএক্টর প্রেসার ভ্যাসেল স্থাপনের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

রবিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১১টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করবেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরাসরি উপস্থিত পারলে অনেক ভালো লাগতো। কিন্তু সেটা সম্ভব হলো না। আমি এই রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের অনুমতি দিচ্ছি। এর পরই রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হয়।

এর মধ্য দিয়ে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে গেল। বর্তমানে বিশ্বে মোট ৩৩টি দেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। বাংলাদেশ আগামী ২০২৩ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছে। এই চুল্লি স্থাপনের মধ্য দিয়ে সেই প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়ে গেল।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ড. ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ড. সৌকত আকবর, প্রকল্পের ঠিকাদার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি রোসাটমের অন্যতম প্রধান নির্বাহী এলেক্সে লিখাচেভ, স্থানীয় এমপি নুরুজ্জামান বিশ্বাসসহ রাশিয়ান বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পারমাণবিক চুল্লিপাত্র বসানোর এই ঘটনা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এর ফলে প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়েই এগিয়ে যাবে। ওই কেন্দ্রের যে যন্ত্রে নিউক্লিয়ার ফুয়েল (পারমাণবিক জ্বালানি) ইউরেনিয়াম থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তার মূল কাঠামো হচ্ছে এই বিশেষ যন্ত্র, পরমাণু চুল্লি)। এটিকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের হৃদপি- বলা হয়।

এরআগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে রাশিয়ার সেরা কর্ম কৌশল চর্চা, বহু বছরের অভিজ্ঞতা এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তাকে কাজে লাগানো হয়েছে উল্লেখ করে রাশিয়ার পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ বলেন, বিদ্যুৎ ইউনিটের অ্যাকটিভ ও প্যাসিভ ব্যবস্থার অনন্য সংমিশ্রণ কেন্দ্রের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত করবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পিত মাত্রার নিশ্চয়তা দিবে।

তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ শিল্পের উন্নয়ন কেবল বাংলাদেশে জ্বালানি সরবরাহের সমস্যার সমাধান করবে না, এই অঞ্চলের উন্নয়নে অবদান রাখবে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান ও বৃদ্ধি করবে।

লিখাচেভ আরও বলেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে এই সহযোগিতা কৌশলগত এবং তিনি এই মর্মে আত্মবিশ্বাসী যে বিদ্যুৎ প্রকৌশল এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও অনেক প্রকল্প রয়েছে যা রাশিয়ান এবং বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞরা একসঙ্গে বাস্তবায়ন করতে পারবে।