আগামী বছর থেকে সাংবাদিকদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে অনুদান পাবেন এ বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (২৬ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ২৩তম সভা শুরু হওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের জন্য একটি ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাস্টের নিয়ম অনুযায়ী যারা সাহায্য পাওয়ার যোগ্য তারা সবাই পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, এই বছর সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে সাধারণ খাতে ৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা ছিল। তার মধ্যে ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বিষয়ে এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরও ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বাকি আছে। আজকের মিটিংয়ে সেগুলোর বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। পুরো টাকাই ইনশাআল্লাহ যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্য থেকে সিলেক্ট করে আমরা দিয়ে দেবো।
তিনি আরও বলেন, এর বাইরে করোনাকালীন বিশেষ সহায়তা তহবিল আছে। প্রধানমন্ত্রী যেখানে ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন। ৬-৭ মাস আগে অনেকে বলেছিলেন সব টাকা কেন এখন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে না? তখন কল্যাণ ট্রাস্টে আলোচনা হয়েছিল, করোনা ভবিষ্যতেও বাড়তে পারে। এখন করোনা বেড়েছে। সেখান থেকে সম্ভবত ৬ কোটি টাকার মতো বিতরণ হয়েছে, আরও ৪ কোটি টাকা আছে। সেগুলোর বড় অংশ আমরা চেষ্টা করবো আগামী কোরবানির ঈদের আগে বিতরণ করার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি যারা সাংবাদিক শুধু তাকে নয়, তার পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসা এবং বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে অনুদান দেওয়ার ব্যাপারে। আমরা একটি নীতিমালা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আশা করি আগামী অর্থবছরেরই সেটি চালু করতে পারবো।
তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সব সাংবাদিকদের জন্য। যিনি প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে সরকারকে কালকেই নামিয়ে ফেলেন, এমন অনেককেই আমরা দিয়েছি এবং তাদের দেবো। কারণ কল্যাণ ট্রাস্ট সবার জন্য। যারা সমালোচনা করেন আমাদের, প্রতিদিন আমাদের বিরুদ্ধে লিখেন বা বলেন তাদেরও আমরা এই কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সহায়তা করেছি এবং ভবিষ্যতেও করবো।