ন্যাভিগেশন মেনু

ধূমপান ছাড়ার উত্তম সময় এখনই


করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের কারণে সরকারের দেওয়া সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মোতাবেক সবাই গৃহবন্দি। করোনা ক্রান্তিকালে লকডাউনের এই সময়টি ধূমপায়ীদের ধূমপান ছাড়ার সর্বোত্তম সময় হতে পারে।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সবাই তার পরিবারের সাথে আছেন। আর এই সুযোগটি নিজের পরিবার আর নিজের কথা ভেবেই কাজে লাগানো উচিত। করোনাভাইরাস ফুসফুসে আক্রমণ করে এবং ধূমপান ফুসফুসকে প্রতিনিয়ত দুর্বল করে দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, যারা ধূমপান করেন না তাদের তুলনায় যারা ধূমপান করেন তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসে যদি কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হয় আর সে যদি ধূমপায়ী হয় তাহলে এই ভাইরাস আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’

গত ফেব্রুয়ারিতে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় উঠে আসে, ‘চিনের করোনাভাইরাস সংক্রমিত এক হাজার ৯৯ জন রোগীর মধ্যে গুরুতর লক্ষণযুক্ত ১৭৩ জন রোগী ১৬ দশমিক নয় শতাংশ বর্তমানে ধূমপায়ী এবং পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ পূর্বে ধূমপান করতেন।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হাসান বলেন, ‘এজন্যই অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীরা বেশি আশংকাজনক অবস্থায় পরতে পারে বলে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে।’

তিনি বলেন, ‘মানুষ করোনায় সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এই সুযোগটি নিতে পারেন। সঙ্কটের সময়ই সুযোগ নেওয়ার সময়। ধূমপায়ীরা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হলে ধূমপান ত্যাগ করা কঠিন হয় না। ধূমপায়ীদের উচিত হঠাৎ করেই একদিন ধূমপান ছেড়ে দেওয়া, যদিও তা একটু কষ্টের, কিন্তু নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এটা করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘হঠাৎ করে ধূমপান ছেড়ে দিলে কিছু সমস্যা অনুভব হতে পারে সেক্ষেত্রে উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। মূল বিষয়টি হলো মানসিকতা। ধূমপায়ীদের মন চিত্তাকর্ষক কার্যক্রমে ব্যস্ত রাখা ভালো।’

অধ্যাপক নাজমুল জানান, ‘ধূমপান ছাড়ার কয়েক দিনের মধ্যেই একজন ধূমপায়ী তার স্বাস্থ্যের উন্নতি লক্ষ্য করতে পারবে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ধূমপানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুস স্বাভাবিক হতে হয়ে উঠতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগে।’

ওয়াই এ/এডিবি