কাবুল বিমানবন্দরের জন্য হুমকিস্বরূপ একটি গাড়িতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগেই এই এলাকায় হামলার আশংকায় সতর্কবার্তা জারি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
রবিবার (২৯ আগস্ট) এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ডের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন বিল আরবান।
তিনি বলেন, এই হামলার মধ্যদিয়ে হামিদ কারজাই আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের প্রতি আইএসআইএস-কে-এর হুমকির অবসান ঘটায়।
তিনি আরও বলেন, তারা আস্থাশীল যে তারা সফলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে পেরেছেন। গাড়িটি থেকে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটায় সেখানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিস্ফোরকের উপস্থিতি ইংগিত করে।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট (সোমবার) ইসলামিক স্টেট খোরাসান কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে একটি আত্মঘাতী হামলা চালায়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ জন সেনা সদস্যসহ অন্তত ২১৩ জন নিহত হয়।
এর পরদিন শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের এক ড্রোন হামলায় ওই হামলার পরিকল্পনাকারী দুই সদস্য নিহত হয়।
কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস একটি নির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য হুমকির কথা উল্লেখ করে বিমানবন্দরের আশেপাশের এলাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত শনিবার বলেন, আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে আরেকটি হামলার সম্ভাবনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা, আফগানিস্তান থেকে তাদের নাগরিক এবং তালেবানের হাত থেকে পলায়মান আফগানদের সরিয়ে নেওয়ার সময় আরও হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন।
ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন রবিবার এবিসি টেলিভিশনের “দিস উইক” অনুষ্ঠানে বলেন, এরই মধ্যে অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে যাওয়া এই মিশনের শেষ কয়েকটা দিন সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়।
এবিসি চ্যানেলে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সেনেটর বেন স্যাসে আফগানিস্তান থেকে মানুষকে সরিয়ে আনার বাইডেন প্রশাসনের পরিকল্পনার সমালোচনা করেন।
হোয়াইট হাউস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ১৪ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার মানুষকে সরিযে নিয়েছে বা সরিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।
এডিবি/