ন্যাভিগেশন মেনু

দুর্যোগে উন্নত দেশের মতো সক্ষমতা অর্জনে সরকার কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী


যেকোনো দুর্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে উন্নত দেশের মতো সক্ষমতা অর্জনে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটে ভূমিকম্প এবং অগ্নিকাণ্ডে করণীয় বিষয়ক সচেতনতামূলক মহড়ায় তিনি এ কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে এ মহড়ার আয়োজন করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি কিনবে।’

তিনি বলেন, ‘বিভাগীয় এবং জেলা শহরগুলোর জন্য ৬৫ ও ৫৫ মিটার উচ্চতায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর লক্ষ্যে ১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি উন্নত মানের ল‌্যাডার কেনা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচনসহ সামাজিক নিরাপত্তা অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ প্রশংসিত হয়েছে সারাবিশ্বে। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে এখন বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘উপকূলে ৫ হাজারের বেশি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সচেতনতা এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পূর্বপ্রস্তুতি থাকলে যেকোনো দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ফণী ও বুলবুল এবং ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এসব ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সরকারের পূর্ব প্রস্তুতি থাকায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব‌্য রাখেন-স্থানীয় এমপি মো. আগা খান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবুল কাশেম মোল্লা।

এমআইআর/ওআ