ন্যাভিগেশন মেনু

করোনা টিকা না নেওয়া রোগীর মৃত্যু ঝুঁকি বেশি: আইইডিসিআর


করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি কম বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) একটি গবেষণা।

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে দুটি পৃথক গবেষণায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ওপর টিকার প্রভাব নিয়ে  গবেষণাটি করেছে আইইডিসিআর। রবিবার (১ আগস্ট) রাতে ওই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। 

গবেষণায় দেখা গেছে, দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন - এমন রোগীদের তুলনায় টিকা না নেওয়া রোগীদের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত জটিলতা বেশি। টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তির হার এবং মৃত্যুঝুঁকিও বেশি।

তাছাড়া দেখা যায়, দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তির হার ৭ শতাংশ। টিকা নেননি এমন রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ২৩ শতাংশ।

শুধু তাই নয়, গবেষণায় দেখা যায় - টিকা নেওয়াদের মৃত্যুর হার দশমিক ০৩ শতাংশ। আর যারা টিকা নেননি তাদের মৃত্যুর হার ৩ শতাংশ।

১ হাজার ৩৩৪ জন কোভিড রোগী এই সমীক্ষায় অংশ নেন। মে এবং জুন মাসে পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায়, ৫৯২ জন কোনও টিকাই নেননি। এক ডোজ নিয়েছেন ৭৪২ জন। টিকা নিয়েও ৫৫ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন। শ্বাসকষ্ট হয়েছে ১১ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর মধ্যে। তাছাড়া দুই ডোজ নিয়েছেন এমন ৩০৬ জন টিকা নেওয়ার অন্তত ১৪ দিন পর আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পর মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণকারীদের ৯৮ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। টিকা নেওয়ার পরও যে কেউ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তাদের ঝুঁকি টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় কম। 

টিকা নেওয়ার পর অ্যান্টিবডি কেমন তৈরি হচ্ছে, তা নিয়ে একটি গবেষণা করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। গবেষণার ফলাফল সোমবার (২ আগস্ট) প্রকাশিত হয়।

যারা আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের শরীরে তুলনামূলক বেশি অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। যে ২ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়নি, তারা জটিল রোগে আক্রান্ত, অনেক বয়স্ক ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অনেক কম। ২০৯ জন টিকা গ্রহণকারীর মধ্যে পরিচালিত গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে।

এডিবি/