ন্যাভিগেশন মেনু

‘জনতা মনে করে বিএনপি নেতাদের সাঁতরেই পদ্মা নদী পার হওয়া উচিত’


জনতা মনে করে বিএনপি নেতাকর্মীসহ যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা ও ষড়যন্ত্র করেছিলেন, তাদের সাঁতরেই নদী পার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী আয়োজন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগে ফেসবুকে দেখলাম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবরা সাঁতরে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন। তরুণ ছেলেমেয়েরা তো অনেক ইনোভেটিভ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অবারিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেজন্য সেখানে তারা নানা ধরনের মতামত দিচ্ছেন, মন্তব্য করছেন। আমি গত রাতেও দেখেছি, আজকে সকালেও দেখলাম যে, পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ খালেদা জিয়াসহ তারা সাঁতরে পার হচ্ছেন।

তিনি বলেন, এটা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে অনেক মানুষ মনে করে যেহেতু তারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা ও ষড়যন্ত্র করেছিলেন, এজন্য তাদের সাঁতরে পদ্মা নদী পার হওয়া উচিত, পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে নয়। জনগণের সেই প্রত্যাশার কথাটাই কিছুটা হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে উঠে এসেছে। আমাদের জনতা মনে করে যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা ও ষড়যন্ত্র করেছিলেন যে, এটি হওয়ার নয়, আওয়ামী লীগ সরকার এটি করতে পারবে না বলে আস্ফালন করেছিলেন, তাদের আসলে এভাবেই পার হওয়া উচিত।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মনে করছি, সেটি নয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা সব মানুষের জন্য পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। আর যারা এটা নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন, অথচ খালেদা জিয়া তো প্রধানমন্ত্রীকে অনেকবার হত্যাচেষ্টা করেছেন। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাই সেটির প্রমাণ। তার প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন ও দেখিয়ে যাচ্ছেন, সেটি এখন অনেকে প্রশ্ন করছেন যে, যারা মহানুভবতার মূল্য দিতে জানে না, তাদের প্রতিই মহানুভবতা কেন? ফলে অনেকেই প্রশ্ন রেখেছেন, সাধারণ মানুষের অনেকেই প্রশ্ন রাখছেন, খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও দুই বছর কারাগারের বাইরে মুক্ত জীবন যাপন করছেন। এখন তারা যদি প্রধানমন্ত্রীর এই মহানুভবতা গ্রহণ করতে না পারে, তবে এখন ভাবতে হবে যে, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী তাকে আবার কারাগারে পাঠাতে হয় কিনা!