ন্যাভিগেশন মেনু

চিয়াং জে মিনের প্রয়াণে শোকাহত বিশ্বনেতারা


চীনের সাবেক প্রেসিডন্ট চিয়াং জে মিনের মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের কাছে শোকবার্তা পাঠিয়ে এবং অন্যান্য উপায়ে গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো অব্যাহত রেখেছেন বিশ্বনেতারা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চিয়াংয়ের কার্যমেয়াদে জোরদার হয়েছে। তিনি দেশটির জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও আন্তরিক সমবেদনা জানান।

থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাওয়ুহুয়া বলেছেন, চিয়াং শুধুমাত্র একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চীনা নেতা ছিলেন না, থাই জনগণের কাছেও তিনি গভীরভাবে সম্মানিত ছিলেন।

থাইল্যান্ডের রাজা বলেন, ১৯৯৯ সালে চিয়াংয়ের রাষ্ট্রীয় সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে বিরাট অগ্রগতি এনে দিয়েছিল। 

মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ বলেন, চিয়াং চীনের উন্নয়ন এবং চীনের আন্তর্জাতিক মর্যাদা উন্নত করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।

নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, চিয়াং-এর নেতৃত্বে চীন সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ ত্বরান্বিত করেঅর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে যাত্রা করে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর নেতৃত্বের গভীর প্রভাব রয়েছে।

সেনেগালের প্রেসিডেন্ট সাবেক প্রেসিডন্ট  চিয়াংকে গভীরভাবে স্মরণ করেন এবং চীনের সফলতার জন্য তাঁকে অভিবাদন জানান।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো বলেন, ব্রাজিল-চীন সম্পর্ক চিয়াংয়ের কার্যমেয়াদে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়েছিল। চীনের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব স্থাপনকারী প্রথম উন্নয়নশীল দেশ ব্রাজিল। তিনি চীন সরকার ও জনগণের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।

ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশটির জনগণ ইসরায়েল-চীন সম্পর্ক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য চিয়াংয়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদান কখনও ভুলবে না।

এছাড়া, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, জিবুতি প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট, সলোমান দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী, ঈথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারম্যান চিয়াংজে মিনের মৃত্যুতে তাঁর আত্মীয়স্বজন, চীন সরকার ও চীনা জনগণের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। (সূত্র: সিএমজি)