ন্যাভিগেশন মেনু

সকাল ১১টায় অনাড়ম্বরভাবে শপথ নেবেন মমতা


বাংলার ভক্তরা তাঁকে মা-মাট-মানুষের নেত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা করেন।হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালিয়ে সবাইকে তাঁক লাগিয়ে বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল।

আজ  সকাল ১১টার দিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক প্রতিকূলতার মধ্যে রুদ্ধশ্বাস লড়াই করে দলকে ফের ক্ষমতায় ফিরিয়েছেন জননেত্রী। এই মুহূর্তে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়াই সাজে তাঁকে। কিন্তু তিনি সংযত।

বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে এই রাজ্যের অভিভাবক তিনি। বিচক্ষণ পদক্ষেপের মাধ্যমে  নিজের মানবিক দিকটাকে আরও একবার তুলে ধরলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।দেশজুড়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে করোনা মহামারী। রাজ্যেও সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী।

এমন আবহে অনাড়ম্বরভাবেই শপথগ্রহণ সারবেন মমতা। বুধবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত জনা পঁচিশেক। একুশের যুদ্ধে জিতে দেশজুড়ে মোদি বিরোধী জোটের প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা। তবু এই ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ভিন্ন রাজ্যের কোনও নেতা-নেত্রীকে আমন্ত্রণ জানাননি তিনি।

রাজনৈতিক মহল বলছেন, এমন সংকটের আবহে মমতার এই পদক্ষেপই বুঝিয়ে দিচ্ছে তাঁর কাছে রাজনীতির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ, মানুষের জীবন।

বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ নিজের বাসভবন থেকে বেরবেন মমতা। ১১.৪৫ মিনিটে রাজভবনের থ্রোন হলে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

সেখানে চা-চক্রসহ মোট ৫৫ মিনিটের একটি অনুষ্ঠান রয়েছে। তার পরই মমতা রওনা দেবেন নবান্নের উদ্দেশ্যে। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশের আগে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হবে।

এর নেতৃত্বে থাকবেন কমব্যাট ব্যাটেলিয়ানের ডিসি ধৃতিমান সরকার। উপস্থিত থাকবেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। এর পরই তৃতীয়বারের জন্য নবান্নের ১৪ তলার ঘরে নির্দিষ্ট আসনে বসবেন জননেত্রী।

শপথ নিয়েই কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নামতে চান মুখ্যমন্ত্রী।আর তাই আগামিকাল বৃহস্পতিবারই প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক সারতে পারেন মমতা।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলেও নিজের বাসভবনে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। কথা হয়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে।

এস এস