ন্যাভিগেশন মেনু

চীন-উজবেকিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল: সি চিন পিং


উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিইয়োয়েভ-এর আমন্ত্রণে শিগগিরই সেদেশে সফরে যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। সফরকালে তিনি সেদেশে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার ২২তম শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। 

আসন্ন এই সফরের প্রাক্কালে ১৩ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানের জাতীয় বার্তা সংস্থাসহ নানা গণমাধ্যম ‘চীন-উজবেকিস্তান সম্পর্কের আরও সুন্দর ভবিষ্যৎ সৃষ্টির যৌথ প্রচেষ্টা ’ শিরোনামে চীনা প্রেসিডেন্টের লেখা একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে। 

প্রবন্ধে বলা হয়েছে, চীন ও উজবেকিস্তান প্রাচীন সভ্যতার দেশ। রেশম পথ দু’দেশের সহস্রাধিক বছরের আদান-প্রদানের প্রমাণ। উজবেকিস্তান মধ্য এশিয়ার বড় দেশ ও ভৌগলিক কেন্দ্র। দেশটি স্বাধীন হওয়ার ৩১ বছরে, উজবেকিস্তানের গঠন ও জাতিগত পুনরুত্থান ফলপ্রসূ  হয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাননীয় প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিইয়োয়েভ’র নেতৃত্বে দেশটি নতুন উজবেকিস্তান গঠনের নতুন যাত্রা শুরু করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন দ্রুততর হয়েছে। দেশটির ভাবমূর্তির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তাতে সু-প্রতিবেশী দেশ ও সার্বিক কৌশলগত অংশীদার হিসেবে চীন খুব আনন্দিত।  

প্রবন্ধে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, চলতি বছর চীন-উজবেকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০তম বার্ষিকী। গত ৩০ বছরে দু’দেশের সম্পর্ক আরও সুসংহত হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বাস্তব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। চীন ও উজবেকিস্তান পরস্পরের ভালো বন্ধু, অভিন্ন উন্নয়নের পথে সু-অংশীদার এবং পরস্পরের সহযোগী। 

দু’হাজার বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান ও গত ৩০ বছরের সহযোগিতামূলক কল্যাণ প্রমাণ করে যে চীন ও উজবেকিস্তানের ঐতিহাসিক প্রবণতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সার্বিক সহযোগিতা দু’দেশের জনগণের মূল স্বার্থের জন্য সহায়ক হবে। ইতিহাস ও ভবিষ্যতের মিশ্র বিন্দুতে দু’দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ প্রত্যাশাময়। পরবর্তীতে দু’দেশের উচিত হবে পরস্পরকে সমর্থন জোরদার করে আস্থার বন্ধন সুসংহত করা, দু’দেশের কল্যাণকর সহযোগিতা গভীরতর করা, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে চ্যালেঞ্জ ও হুমকি মোকাবিলা করা এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও ঘনিষ্ঠ করা। 

প্রবন্ধে আরও বলা হয়েছে,  চলতি বছর শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সনদ স্বাক্ষরের ২০তম এবং শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশসমূহের দীর্ঘস্থায়ী সু-প্রতিবেশী সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের ১৫তম বার্ষিকী। সে সনদ ও চুক্তির নির্দেশনায় শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা সদস্য দেশসমূহকে স্থিতিশীলতা রক্ষা, যৌথভাবে উন্নয়ন বেগবান করার পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মান ভিত্তিক সমতা-সম্পন্ন ও ন্যায়সঙ্গত এবং সহযোগিতামূলক নতুন ধরণের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। (সূত্র: সিএমজি)