ন্যাভিগেশন মেনু

৩৪৪ বছরের কচ্ছপটি মারা গেল


অনেকেরই মনে আছে ঈশপের সেই গল্পটা। কচ্ছপ ধীর কিন্তু স্থির গতিতে কীভাবে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছিল সে গল্পটি সকলের জানা।

এবার শুধু গল্পের রেসের ক্ষেত্রে নয়। জীবনের লড়াইয়েও স্থির লক্ষ্যে এগিয়ে চলে কচ্ছপ। দুনিয়ার দীর্ঘজীবী প্রাণীদের তালিকায় এই কচ্ছপ আছে সেরা পাঁচের মধ্যে।

বলা হয়ে থাকে মোটামুটিভাবে একটি কচ্ছপের গড় আয়ু ১০০ থেকে ১২৩ বছর। কিন্তু, এবার কচ্ছপটির বয়স এই আয়ুর চেয়েও অনেক বেশি।

নয় নয় করে প্রায় সাড়ে তিন শতাব্দী কাটিয়ে ফেলেছে পৃথিবীর বুকে। অবশেষে ইহলোকের মায়া কাটিয়ে পরলোকে গমন করল আলাগবা।

আরও পড়ুন: মোংলায় বিপুল পরিমান সন্ধি কচ্ছপসহ আটক ১

নাইজেরিয়ার রাজপরিবারের মালিকানাধীন ওই কচ্ছপটির বয়স নাকি ৩৪৪ বছর। অন্তত এমনটাই রাজপরিবারের সর্বশেষ সদস্যের দাবি। কচ্ছপটির জন্ম নাকি হয়েছিল ১৬৭৫ খ্রিষ্টাব্দে। এত বেশি বয়স হওয়ায় কচ্ছপটিকে আলাগবা বলে ডাকা হয়। যার অর্থ ‘বয়স্ক। ৩৪৪ বছরের প্রাণীটি সামান্য শারীরিক অসুস্থতার পর মারা গিয়েছে।

কচ্ছপ এমনিতে বেশিদিন বাঁচে। ধীরগতির প্রাণীটির এত বেশিদিন বাঁচার কারণ হিসেবে অনেকে বলেন, প্রাণীটির বিপাক প্রক্রিয়া খুব ধীরগতির। তার মানে এদের শক্তিও ক্ষয় হয় অতি ধীরে। সেই ১৯০৮ সালে জার্মান শারীরবৃত্তবিদ ম্যাক্স রাবনার প্রাণীর আয়ু নিয়ে একটা সূত্র উপস্থাপন করেছিলেন।

যেখানে বলা হয়েছিল, প্রাণীর বিপাক প্রক্রিয়া যত দ্রুত, তার আয়ু তত কম। গত শতাব্দীতে এটা নিয়ে অনেক বিজ্ঞানীই মাথা ঘামিয়েছেন। প্রাণিদেহের মৌলিক কিছু উপাদান (যেগুলো কোষের মৃত্যুর জন্য দায়ী) ও স্থিতিহীন অণুর (যেগুলো শরীরে শক্তি জোগায়) সঙ্গে বিপাক প্রক্রিয়ার সম্পর্ক আছে।

এই সূত্র অনুযায়ীই কচ্ছপ বেশিদিন বাঁচে। যদিও, বিজ্ঞানীদের দাবি এখানে যে কচ্ছপটির কথা বলা হচ্ছে তাঁর বয়স এত বেশি নয়। খুব বেশি হলে একশো বা তাঁর কিছু বেশি হবে। কিন্তু, রাজপরিবারের সদস্যরা তা মানতে রাজি নন।

এস এস