গত দুই বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে বিভিন্ন অপরাধে দুই হাজার ২০০ অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
রোহিঙ্গাদের কেন্দ্র করে মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে সেগুলো মোকাবিলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর ও সব গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আজ রবিবার ঢাকায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলয়ের সম্মেলনকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। এ সময় জননিরাপত্তা সচিবসহ সব বাহিনীর প্রধান ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনটা ব্যাটালিয়ন ওখানে ৩৪টি ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে। এখন রাতে টহল দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ক্যাম্প রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে নেওয়া হয়েছে। বেনজির আহমেদ বলেন, গত দুই বছরে দুই হাজার ২০০ অপরাধীকে গ্রেফতার করেছি।
ক্যাম্পগুলোকে কেন্দ্র করে অনেক ধরনের অপতৎপরতা হয়, ইয়াবার ব্যবসা থেকে শুরু করে অনেক ধরনের অপতৎপরাতা নিয়ন্ত্রণে করার জন্য এখন ক্যাম্পের পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো। সেনা সহায়তায় ক্যাম্পের চারপাশে বেড়া দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, বেড়া দেওয়া শেষ হলে আমি মনে করি যে ক্যাম্পে এখন যে অবাধ চলাচলের বিষয় আছে সেটি বন্ধ হবে।
এ বেড়ার বাইরে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হচ্ছে, এটা তৈরি করা হলে আমাদের পক্ষে ক্যাম্পের বাইরে টহল দেওয়া সুবিধা হবে। ক্যাম্পের বাইরে কিছু ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ক্যাম্পের বাইরে যৌথ টহলের ব্যবস্থা রয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ওই অঞ্চলে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী কাজ করে। রামুতে ১০ পদাদিক ডিভিশন রয়েছে। তারা ক্যাম্পের বাইরে যৌথ টহল দিচ্ছে।
সেখানে যে তিনটি ব্যাটালিয়ন কাজ করে কক্সবাজার শহরে, সেগুলোকে উখিয়া ও টেকনাফে নিয়ে যাব। যৌথ বাহিনীর টহলের জন্য এসওপিও করার কাজ চলছে।
এস এস