ন্যাভিগেশন মেনু

অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে রইলো বিদেশি, করোনা আতঙ্কে কাছে ঘেঁষেনি কেউ


সিলেট শহরে রাস্তার পাশে হঠাৎ করেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান এক বিদেশি। কিন্তু অজ্ঞান হওয়া ব্যক্তি বিদেশি হওয়ায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত হতে পারেন এমন সন্দেহে কাছে ঘেঁষছিলেন না কেউ।

শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে নগরীর মীরবক্সটুলা এলাকায় আচমকা এমন ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তবে পুলিশও ভয়ে ওই বিদেশির পাশে যায়নি। এরপর খবর দেওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্স। কিছুক্ষণ ঘটনাস্থলে আসে অ্যাম্বুলেন্স। তবে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে একজন আসায় কে রোগীকে তুলতে সাহায্য করবেন নিয়ে দেখা দেয় বিপত্তি। রোগীকে স্ট্রেচার তোলার জন্য আরেকজনের সাহায্য প্রয়োজন কিন্তু পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী- কেউই এই রোগীর কাছে যেতে রাজি নন।

এ অবস্থায় পুলিশ-জনতা একে অপরকে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন। এভাবে কিছুক্ষণ যাওয়ার পর সন্ধার দিকে স্থানীয় একজনের সহযোগিতায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই বিদেশি বর্তমানে নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই বিদেশির নাম মার্কু (৪৫)। তিনি ফিনল্যান্ডের নাগরিক। গত দেড় মাস ধরে তিনি সিলেটে অবস্থান করছিলেন। নগরীর হাওয়াপাড়া এলাকার হোটেল নাজালের ৩০ নম্বর রুম ভাড়া নিয়ে থাকছেন তিনি। তিনি কোনো অসুখে ভোগছিলেন কী না তা জানা যায়নি। সিলেটে তার অবস্থানের কারণ সম্পর্কেও স্থানীয়রা কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা বলেন, বিকেলে মার্কু নামে ফিনল্যান্ডের এক নাগরিককে মীরবক্সটুলা এলাকার খায়রুন ভবনের পাশে পড়েছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্স গিয়ে তাকে সিলেট শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নিয়ে আসে। তিনি বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মার্ক অজ্ঞান হওয়ার পর আশপাশের মানুষদের মধ্যে করোনাভাইরাস আতঙ্ক দেখা দেয়। আক্রান্ত সন্দেহে এলাকাবাসী বা প্রত্যক্ষদর্শীরা কেউই তাকে মাটি থেকে তুলতে সাহস পায়নি। স্বাভাবিক কারণে পুলিশ সদস্যদের মধ্যও আতঙ্ক কাজ করছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ড. আনিসুর রহমান রোববার (২৯ মার্চ) সকালে জানান, ওই বিদেশির শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নেই। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তাকে শহীদ সামসুদ্দিন হাসপাতাল থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এডিবি/