ন্যাভিগেশন মেনু

অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ৭ মার্চ উদযাপন


কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করা হয়েছে।

রবিবার (৭ মার্চ)  সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ হাউজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান। এ সময় হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

পতাকা উত্তোলনের সময় জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। পতাকা উত্তোলনের পর বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহিদদের রুহের মাগফেরাত করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বেলা ১০টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে হাইকমিশনারের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর ঐতিহাসিক এ দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে পাঠানো ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়।

ডকুমেন্টরি প্রদর্শনের পর  রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী হাইকমিশনের উপ-হাইকমিশনার এবং মিনিস্টার (রাজনৈতিক) পাঠ করে শোনান। বাণী পাঠের পর বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।

হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এই বিশেষ আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে ছিলেন অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ফেলো মিস নিপা ব্যাণার্জী, কলামিস্ট প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক খান, অর্থনীতিবিদ ড. খলিকুজ্জামান, কানাডায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত অজয় বিশারিয়া, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ৫০ বছর আগে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ভাষণটি বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল পশ্চিম পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে। এ ভাষণটির মাধ্যমে বাঙালি জাতি স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছিল, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমেই বাঙালি জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত হয়েছিলো।

বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণটি ‘World documentary Heritage’ এর  অংশ হিসেবে ‘Memory of the World Register’ এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে বক্তারা সকলকে অবহিত করেন। একটি জাতিকে কিভাবে স্বাধীনতা এনে দিতে হয় তা বঙ্গবন্ধু জানতেন এবং ৭ মার্চের ভাষণ তারই প্রতিফলন বহন করে। ভাষণটি মধ্যে কোন কিছুর কমতি ছিলো না এবং এটি বঙ্গবন্ধুর উপস্থিত বক্তৃতা হিসেবে পৃথিবীর ইতিহাসে চিরকাল একটি অন্যতম ভাষণ হয়ে থাকবে।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মুজিববর্ষের জন্য বিশেষভাবে রচিত দুই বাংলার শিল্পীদের গাওয়া একটি গান ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি তুমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ অবমুক্ত করেন। ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত সকলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।

সিবি/এডিবি