ন্যাভিগেশন মেনু

অফিস খোলার প্রথমদিনেই দেশজুড়ে কড়া লকডাউন


নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশে লকডাউন আরোপ করার ফলে মহামারির বিস্তার তেমন ঘটেনি। কিন্তু জীবীকার তাগিদে গামের্ণ্টস খুলে দেওয়া ও লকডাউন ঢিলেঢালা করায় তর তর করে বাড়তে থাকে মৃত্যু ও সংক্রমণ। এ অবস্থায় সরকার ফের লকডাউন আরও কঠোরভাবে আরোপের উদ্যোগী হয়েছে। 

আজ রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে অফিস খেলার প্রথম দিনেই ঢাকার ৪৩টি এলাকা আগারগাঁ, তালতলা, শের-ই-বাংলা নগর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পল্লবী, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১২, মিরপুর-১৩, মিরপুর-১৪, ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত, কাফরুল, মহাখালী, নিউ ডিওএসএইচ, ওল্ড ডিওএসএইচ, কাকলী, তেজগাঁও ওল্ড এয়ারপোর্ট এরিয়া, তেজগাঁ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া, ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান-১, ২, বনানী, মহাখালী বন্ধ থাকছে।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়ন হবে স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ।

সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ কথা জানানোর পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেশের তিনটি বিভাগ, ৫০টি জেলা ও ৪০০টি উপজেলাকে পুরোপুরি লকডাউন (রেড জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে। 

আংশিক লকডাউন (ইয়েলো জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে পাঁচটি বিভাগ, ১৩টি জেলা ও ১৯টি উপজেলাকে। 

আর লকডাউন নয় (গ্রিন জোন বিবেচিত) এমন জেলা দেখানো হচ্ছে একটি এবং উপজেলা দেখানো হচ্ছে ৭৫টি। 

মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে শনিবার (৬ জুন) সর্বশেষ আপডেট করা তালিকায় বরিশাল বিভাগের মধ্যে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও পিরোজপুরকে। এই বিভাগে আংশিক লকডাউন ভোলা ও ঝালকাঠি।চট্টগ্রাম বিভাগে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ফেনী, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীকে। ঢাকা বিভাগের মধ্যে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও টাঙ্গাইলকে। এই বিভাগে শুধু ঢাকা ও ফরিদপুর আংশিক লকডাউন। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ঢাকার দুই এলাকা ওয়ারি ও রাজাবাজার লকডাউনের আওতায় আনার চিন্তা চলছে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে দুই মাসের বেশি সময় সারা দেশে লকডাউন জারি রাখার পর ৩১ মে থেকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে সরকার।তবে দেশে প্রতিদিন যেখানে সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে সব অফিস খোলার পাশাপাশি যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন অনেকে।

এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এলাকা ধরে ধরে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনুযায়ি লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ করে প্রয়োজন অনুযায়ি বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কক্সবাজার পৌর এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে ফের অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভাকে ‘রেড জোন’ এর আওতায় আনা হয়েছে।

এস এস