ন্যাভিগেশন মেনু

অবশেষে দেখা হলো দুজনে


চলচ্চিত্রে মিয়া ভাইখ্যাত কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ও ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে তার সঙ্গে রয়েছেন তার সহধর্মীণি ফারহানা ফারুক। কিন্তু মাউন্ট এলিজাবেথ হাতপাতালে ভর্তির পর থেকেই ফারুক ও তার স্ত্রী ফারহানা ফারুক করোনাভাইরাসের কারণে কোয়ারেন্টাইনে চলে যান। পাশাপাশি রুমে থেকেও দুজনের যোগাযোগের মাধ্যম ছিলো ফোন ও ভিডিও কল । 

অবশেষ ১৪দিন কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ করে এবং হাসপাতালের বিভিন্ন নিয়ম শেষে আরও একদিন পর দেখা হলো দুজনের। 

প্রথম ৯৩০৬ নাম্বার কেবিনে থাকলেও বর্তমানে স্থানান্তরিত হয়ে ৫৬২৫ নাম্বার কেবিনে রয়েছেন এই অভিনেতা।

সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে বাংলাদেশ পোস্টকে জানালেন ফারুক নিজেই।

এ সম্পর্কে ফারুক বলেন, ‘আমাদের ২৮/২৯ বছরের সংসার জীবনে কখনও এভাবে আমরা আলাদা থাকিনি। পাশাপাশি রুমে আছি কিন্তু কাছাকাছি নয় এভাবে কষ্ট হয়েছে আমার। একদিকে আমি অসুস্থ্য  হয়ে এক রুমে, অন্যদিকে আমার স্ত্রী অন্য রুমে আমার জন্য চিন্তুায় অস্থির। এই পরিস্থিতি কারও জীবনে না ঘটলে কেউ অনুভব করতে পারবে না। এখন বেশ ভালো লাগছে। স্ত্রীকে পাশে পেয়ে মনোবল বেড়ে গেছে।’

ফারুক তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলেন, ‘এখন অবস্থা বেশ ভালো। অনেকগুলো টেস্ট করার পর ফাইনালি রোগ নির্ণয় হয়েছে। আমার রক্তে টিবি রোগ ধরা পড়েছে। এখানে ডাক্তার লাই চুংসহ চারজন বিশেষজ্ঞের অধীনে আমার চিকিৎসা চলছে। আগামী ৪ সপ্তাহ আমাকে তাদের অভজারভেশনে থাকতে হবে। তবে আগামী ১০ বা ১২দিন হাতপাতালে থাকতে হবে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। যাতে সুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আসতে পারি। কারণ বাংলাদেশকে অনেক বেশি মিস করছি।

ফারুকের সহধর্মীনি ফারহানা ফারুক বলেন, ‘এতোদিন অনেক চিন্তুায় ছিলাম। ১৫দিন পর দেখা হয়ে সব শঙ্কা দূর হয়েছে। ফারুক এখন ভালো আছে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

শুরুতে ফারুক ঢাকার ইউনাইটেড ও এভারকেয়ার (অ্যাপেলো) হাসপাতালে পর্যায়ক্রমে চিকিৎসা নিয়েছেন। পর্ববর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষ ফ্লাইটে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে সিঙ্গাপুরে পৌঁছান খ্যাতিমান এই অভিনেতা।

ওআ/