ন্যাভিগেশন মেনু

অবশেষে ফাইজারের টিকা ঢাকায়


ফাইজার-বায়োএনটেকের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকার চালান দেশে পৌঁছেছে। সোমবার (৩১ মে) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাত ১১টার দিকে ইকে-৫৮৪ ফ্লাইট যোগে এ চালান এসে পৌঁছায়।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ।

কোভ্যাক্স প্ল্যাটফর্মটি গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস (গ্যাভি) এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের (সিইপিআই) উদ্যোগে। এ জোটের মাধ্যমে প্রতিটি দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য বিনামূল্যে টিকার ব্যবস্থার কথা।

কোভ্যাক্স থেকে প্রথম পর্যায়ে এক কোটি ২৭ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিলো বাংলাদেশের। কিন্তু বিশ্বজুড়ে টিকার সংকট দেখা দেওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না। চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে টিকা পাওয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিশ্বজুড়ে টিকার সংকট তৈরি হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দেশে চতুর্থ টিকা হিসেবে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা।

এর আগে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-ভি এবং চিনের সিনোফার্মের তৈরি টিকার অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রমতে, এ পর্যন্ত দেশে টিকা এসেছে সেরাম থেকে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭০ লাখ ডোজ। একই প্রতিষ্ঠানে তৈরি একই টিকার আরো ৩২ লাখ ডোজ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে উপহার দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে চীন সরকারের পক্ষ থেকে উপহার পাওয়া গেছে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা।

ওআ/