ন্যাভিগেশন মেনু

অবশেষে সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি পেল সেই ‘রানি’


অবশেষে মৃত্যুর ৩৯ দিন পর গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পেলো সাভারের আশুলিয়ার চারিগ্রাম এলাকার শিকড় এগ্রো ফার্মের খর্বাকৃতি গরু ‘রানী’।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বব) সকালে শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কাজী মো. আবু সুফিয়ান বাংলাদেশ পোস্ট’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গত ২৩ সেপ্টেম্বর আমরা গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেকর্ড জয়ের ইমেইল পেয়েছি, পরবর্তীতে গতকাল সোমবার রানী’র নাম গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ওয়েবসাইটে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়।’

এর আগে অসুস্থ্য হওয়ার পর গত ১৯ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাভার উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে গরুটি মারা যায়। সেসময় সাভার উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাজেদুল ইসলাম জানান, গরুটির পেটে গ্যাস জমে তা থেকে রানীর মৃত্যু হয়। মূলত অতিরিক্ত দানাদার খাবার খাওয়ানোর জন্যই এমনটা হতে পারে বলেও মত দিয়েছিলেন তিনি।

কাজী সুফিয়ান জানান, গত ২ জুলাই অফিসিয়ালী গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য তারা গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। পরবর্তীতে গিনেস কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী তারা সব ধরনের ডকুমেন্ট সরবরাহ করেন। এর মধ্যে হঠাৎ করেই ১৯ আগস্ট রানীর মৃত্যু হলে, পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন রকম আলোচনা শুরু হলে আমরা খানিকটা দ্বিধায় পড়ে যাই, কারন যেহেতু রানীর মৃত্যু হয়েছে, সেহেতু আমাদের এই আবেদন আর সামনে এগোবে কিনা। পরবর্তীতে বিষয়টি গিনেস কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা আমাদের রানীর ময়নাতদন্ত প্রতিবদন দাখিল করতে বলেন, এবং তাই করি।  সবশেষে গতকাল সকল প্রক্রিয়া শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে গিনেস কর্তৃপক্ষ রানীকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহল থেকে বলার চেষ্টা করা হয়েছিলো যে আমরা উচ্চ মূল্যে রানীকে বিক্রি করতে চেয়েছি। কিন্তু বিষয়গুলো পুরোটাই ভিত্তিহীন ছিলো, কেননা রানী ছিলো আমাদের ভালোবাসার একটি নাম। তাকে বিক্রি করে অর্থ আয়ের কোন মানসিকতা কখনোই আমাদের ছিলো না। পরিশেষে আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে রানী আমাদের ছেড়ে চলে গেছে, তবে দেশের জন্য ছিনিয়ে এনেছে বিশ্ব রেকর্ড, সেটিও এই মুুজিববর্ষেই। আজ রানী বেঁচে থাকলে আমাদের এই আনন্দ আরো বহুগুনে বেড়ে যেত।

ভুট্টি জাতের এ গরুর উচ্চতা ২০ ইঞ্চি এবং ওজন ২৬ কেজি ছিল।

এন এম/ওআ