ন্যাভিগেশন মেনু

অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফিরছেন যুবরাজ


অবসর ভেঙ্গে আবারও ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন ভারতীয় দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। গত বছর জুন মাসে ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন যুবরাজ। তবে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী সব ঠিকঠাক থাকলে পাঞ্জাবের হয়ে অন্তত টি-২০ ক্রিকেটে ফিরছেন ভারতের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী এ অলরাউন্ডার।

২০১১ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় যুবরাজ পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগেই মোহালি স্টেডিয়ামে গত কয়েক মাস অনুশীলন করেন। পাঞ্জাব দলের শুবমান গিল, অভিষেক শর্মারা তাকে সঙ্গ দিয়েছেন। এ সময়ই ক্রিকেটে ফেরার ভাবনাটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে যুবরাজের মধ্যে।

সংবাদমাধ্যম ‘ক্রিকবাজ’কে যুবরাজ বলেন, ‘এসব তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লেগেছে। খেলার নানা দিক নিয়ে কথা হতো। ওরা আমার কথা থেকে অনেক কিছুই নিয়েছে। নেটে গিয়ে ওদের কিছু বিষয় দেখাতে গিয়ে টের পেলাম বল ভালোই ব্যাটে খেলছি যদিও দীর্ঘদিন ব্যাট হাতে ওঠেনি।’

পাঞ্জাব ক্রিকেটারদের অফ সিজন শুরুর আগে গলফ ও টেনিস খেলেই সময় কাটান ৩৮ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার। অফ সিজন ক্যাম্পে ব্যাটিং শুরু করেন। অনুশীলন ম্যাচে রানও পেয়েছেন। যুবরাজের ভাষায়, ‘পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি পুনেত বালী এমনই এক সেশনে এসে বললেন, ফেরার কথা ভাবতে পারি কি না।’

বালীর মতে পাঞ্জাবের তরুণ ক্রিকেটাররা যুবরাজকে অনুসরণ করছে, তার কথা শুনছে। আর যুবরাজ নিজেও ভালো ব্যাট করছেন। ফিটনেস নিয়েও ভাবনা নেই। তাহলে তাঁর ফেরাটা তো সবার জন্যই ভালো হয়। যুবরাজ জানালেন, ‘প্রস্তাবটা লুফে নেব কিনা শুরুতে ঠিক নিশ্চিত ছিলাম না। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার দিন তো শেষ। তবে বিসিসিআই চাইলে বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার ইচ্ছা ছিল। বালীর কথা আমি ফেলতে পারিনি। প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ ভেবেছি। প্রেরণাটা হলো পাঞ্জাবকে চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাতে সহযোগিতা করা। হরভজন সিং এবং আমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। কিন্তু একসঙ্গে কখনো জেতা হয়নি। ফিরে আসার সিদ্ধান্তের এটাও বড় কারণ।’

তিনি আরও বলেন , ‘শুবমান তো আগেই ভারতের হয়ে খেলেছে। বাকি দু’জনেরও অমিত সম্ভাবনা আছে। তাদের উন্নতিতে কোনো সহায়তা করতে পারলে, পাঞ্জাব ক্রিকেটকে সাহায্য করতে পারলে ভালো লাগবে। পাঞ্জাবের হয়ে খেলেই তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছি।’

পাঞ্জাবের হয়ে খেলার জন্য বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির কাছে ফেরার অনুমতি চেয়ে মেইল করেন যুবরাজ। পাঞ্জাবের হয়ে খেলতে পারলে দেশের বাইরে খেলার জন্য দৌড়াবেন না-মেইলে বিষয়টি পরিষ্কার করেন যুবরাজ। বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে এখনো কোনো জবাব পাননি তিনি। যুবরাজ এর আগে কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ও আবুধাবিতে টি-১০ লিগে খেলেছেন।

ওআ/