ন্যাভিগেশন মেনু

অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন মোদি


আজকেরবাংলাদেশপোস্ট অনলাইন ডেস্ক: বুধবার (আগস্ট ৫) নির্ধারিত সময় মতো অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তারপর মঞ্চে উঠেই তুমুল হর্ষধ্বনি জাগিয়ে সোল্লাসে তিনি বলেন, ‘জয় সিয়া রাম’। এদিন ভূমিপুজোর পর রাম মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি মহন্ত নিত্যগোপাল দাশের সঙ্গে মন্দিরের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। 

মোদি বলেন, “রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা রাষ্ট্র নির্মাণের পদক্ষেপ। আজ জয় শ্রী রামের ধ্বনি শুধু অযোধ্যা নয়, গোটা বিশ্বে শোনা যাচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মতোই রাম মন্দিরের জন্য কয়েক শতাব্দী ধরে অনেকে আন্দোলন করেছেন। 

আজ তারই ফল পেয়েছি আমরা। যাঁদের ত্যাগ ও বলিদানের জন্য আজ রাম মন্দিরের স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে, এ ১২০ কোটি দেশবাসীর তরফ থেকে তাঁদের প্রণাম জানাই। 

এখানে আসার আগে আমি হনুমান গড়িতে পুজো দিয়েছি। কারণ রামের সব কাজ তো হনুমানই করেন। তাঁরই আশীর্বাদে এই কাজ করতে পেরেছি আমরা । স্মারক হিসেবে পোস্টাল স্ট্যাম্প রিলিজ করলেন প্রধানমন্ত্রী।

আজ পাঁচ শতকের বিতর্কের অবসান হয়েছে। অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি দিশায় প্রথম পদক্ষেপ করা হয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়েই ঐতিহাসিক রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। করোনা পরিস্থিতিতে সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করে আয়োজন করা হয়েছে ভূমিপুজোর। 

গোটা অযোধ্যা শহর মুড়ে ফেলা হয় নিরাপত্তার চাদরে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রে ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিত্যগোপাল দাস, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল। 

সব মিলিয়ে গোটা দেশ এদিন তাকিয়ে ছিল অযোধ্যার দিকে। সরযূ নদীর তীরে স্বর্ণযুগের সূচনা হয়। অযোধ্যায় শিলান্যাস করে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

মোদি বলেন, ‘‘বহু দিনের প্রতীক্ষা শেষ। এত দিন তাঁবুতে মাথা গুঁজে ছিলেন রামলালা। এ বার তাঁর জন্য সুবিশাল মন্দির নির্মিত হবে। বহু শতক ধরে যে ভাঙা-গড়ার খেলা চলে আসছে, আজ রামজন্মভূমি তা থেকে মুক্ত হল।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি ছিল, দিল্লি থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে তিনি রওনা দেন সকাল ৯-৩৫ মিনিটে। লখনউ পৌঁছান সকাল ১০-৩৫ মিনিট। সেখান থেকেই ১০-৪০ মিনিটে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। 

অযোধ্যায় পৌঁছান ১১-৩০ মিনিটে। ১১-৪০ মিনিটে হনুমানগড়িতে পুজো দেন। দুপুর বারোটায় রাম জন্মভূমি পরিসরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে প্রথমে রামলালার দর্শন করে বিশেষ পুজো দেন তিনি। এরপর করেন বৃক্ষরোপণ। দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হয় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর মূল অনুষ্ঠান।

আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেন, যাঁরা আজ এই অনুষ্ঠানে আসতে পারলেন না, তাঁরাও নিশ্চিয় ভীষণ খুশি এই সাফল্যে এবং বাড়ি থেকে গোটা অনুষ্ঠানটি টিভিতে দেখেছেন। 

গণেশপুজো দিয়ে ভূমিপূজন পর্বের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছে সোমবারই। মঙ্গলবার সারাদিন ধরে হয়েছে রামার্চন পুজো৷ পুরোহিত সত্যনারায়ণ দাস জানিয়েছেন, রীতি মেনে চারটি পর্বে করা হয়েছে এই বিশেষ পুজো। 

এদিকে, এই দিনেই ভূমি পূজনকে ঘিরে দীপাবলির সাজে সেজে উঠেছে অযোধ্যা। ভূমিপূজন উপলক্ষে সারা দেশ থেকে অযোধ্যায় পৌঁছেছে ফুলের রাশি৷ পুরোহিতদের হিসেব অনুযায়ী, ভূমিপূজন স্থল ও তার আশপাশের দু'টি মঞ্চ সাজানোর জন্য ৪০০ কুইন্টাল ফুলের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ 

এর মধ্যে ৬০০ কিলোগ্রাম গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজানো হবে দু'টি মঞ্চ৷ ভূমিপূজন মঞ্চের গোটা এলাকা সোমবার থেকেই ঘিরে রাখে স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)৷ 

এস এস/