অর্থপাচার মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ও ঠিকাদার জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকালে ঢাকার ১০নং বিশেষ জজ আদালতে তোলা হয় জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে। এ সময় দুপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক নজরুল ইসলাম ৮ আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ‘আগামী ১৯ নভেম্বর ৮ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।’
মামলার অপর আসামিরা হলেন - দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, জামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
গত ৫ অক্টোবর ঢাকা মহানগর আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ বদলি করেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড) আবু সাঈদ আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় মোট ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গুলশান থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ৪ আগস্ট সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড আবু সাঈদ ৮ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় মোট ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে।
পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়। মামলাগুলোর মধ্যে অস্ত্র ও মাদক মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এরইমধ্যে অস্ত্র মামলায় সাত দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমের বিচার শুরু হয়েছে।
এছাড়া গত বছরের ২১ অক্টোবর জি কে শামীমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুদক।
ওয়াই এ/এডিবি