ন্যাভিগেশন মেনু

অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত


ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টন, অস্ট্রেলিয়া থেকে: অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটি-২০২১-এর উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর তিনটায়) জুমের মাধ্যমে এই আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক গামা আব্দুল কাদিরের সভাপতিত্বে ও কমিটির সদস্য সচিব ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টনের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেক। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন - গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত নন্দী, রুবিনা মীরা এমপি।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়াস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমান। 

অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অস্ট্রেলিয়া যুবলীগসহ অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন ড. নুরুর রহমান খোকন, আব্দুল জলিল, প্রকৌশলী শফিকুর রহমান অনু, ড. খায়রুল চৌধুরী, নাসিম সামাদ, ড. লাভলী রহমান, এমদাদ হক, শফিকুল আলম, ড. কামালউদ্দিন, রহমত উল্লাহ, আবু তারিক, সেলিমা বেগম, মোহাম্মদ মুনীর হোসেন, নির্মাল্য তালুকদার, ডা. আসাদ শামস, অনুপ কুমার মণ্ডল, অপু সারোয়ার, ডা. তুহিন তরিকুল ইসলাম, মোশতাক মিরাজ, নোমান শামীম, এলিজা রহমান টুম্পা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি আইভি রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শাহাদৎবরণকারী সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

বক্তারার বলেন, বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু ছিলেন সবসময় আপোষহীন। তিনি হলেন বাঙালির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তিনি কোনদিন ভাবতেও পারেননি, বাংলার বুকে তাকে হত্যা করা হতে পারে। অত্যন্ত সুপরিকল্পিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে সেদিন থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।

সময়ের পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ আর কেবল স্বপ্ন নয়, এটি আজকের বাস্তবতা। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের বুকে বঙ্গবন্ধুর খুনীদেরও বিচার করা হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের দারিদ্র্য, দুর্নীতি, চিন্তার অনগ্রসরতা, অসহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িকতাকে বাংলাদেশের বুক থেকে চিরতরে দূর করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কলঙ্কের দায়মোচন করতে হবে। আগামী প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে তুলে ধরতে হবে। বাংলাদেশের জন্য ‘মুজিববাদ’ যে একটি টনিকের মতো, সেটি আমাদের বেশি বেশি করে বলতে হবে। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক বলে নিজেদের দাবি করি, আমাদের সবাইকে কাজে-কর্মে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করতে হবে। আমাদের কথা ও কাজে ভিন্নতা কাম্য নয়। দেশে-বিদেশে সবাই মিলে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান অগ্রযাত্রায় স্ব স্ব অবস্থান থেকে আমাদের সবাইকে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে হবে। 

এডিবি/