ন্যাভিগেশন মেনু

অস্ত্র মামলায় সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড


রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ ওরফে মো. সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। 

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অবৈধ অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন সাহেদকে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বিচারক রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করেন।

এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামির আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন সাহেদ। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। এরপর আদালত যুক্তিতর্কের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

গত ২৭ আগস্ট একই আদালত এই মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। ওই দিনই এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে, রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত জামিন খারিজ করে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এই মামলায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৪ জনের মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্য সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। পরদিন করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযানে যায় ডিবি পুলিশ। অভিযানে গিয়ে আরও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ নিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতসহ জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

ওয়াই এ/ এডিবি