ন্যাভিগেশন মেনু

আইএস যোদ্ধাদের ট্রাভেল পারমিট দিতে কড়াকড়ি


বাংলাদেশ থেকে সিরিয়া ও ইরাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-এর হয়ে  যুদ্ধ করতে যাওয়া জঙ্গিরা যেন দেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি ছাড়া কাউকে ট্রাভেল পারমিট (ভ্রমণের অনুমতিপত্র) না দিতে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আইএসএর পতন হওয়ায় গণহারে পাকড়াও এবং আত্মসমর্পণের প্রেক্ষাপটে এই যোদ্ধারা বাংলাদেশে ফিরতে মরিয়া বলে আশঙ্কা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের বহিরাগমন শাখা থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি বিদেশের দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জঙ্গি তৎপরতার কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জাতীয়তা ও প্রাক্-পরিচিতি যাচাই ছাড়া কাউকে ট্রাভেল পারমিট দিতে নিষেধ করা হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থেই এ ব্যবস্থা।

যুদ্ধফেরত কোনো জঙ্গি যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে, সে জন্য আগেই বিমানবন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী জঙ্গিদের ছবিসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য বিমানবন্দরে দেওয়া আছে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জানিয়েছে, সেখানকার নাগরিক কিন্তু বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমন জঙ্গিরাও বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে। তাদের যেহেতু পাসপোর্ট নেই, তারা দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পারমিট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে। তাই দেশে ফেরার আগেই সবার পরিচিতি যাচাই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের (ইসলামিক স্টেট) মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ থেকে অনেকে সিরিয়া ও ইরাকে গেছে। পশ্চিমা একটি দেশের কাছে প্রবাসী সন্ত্রাসবাদী যোদ্ধাদের (ফরেন টেররিস্ট ফাইটারস বা এফটিএফ) যে তালিকা রয়েছে, তাতে সিরিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা ৪০ জনের বেশি।

তারা মূলত ২০১৪-১৫ সালে দেশ ত্যাগ করেন। তাঁদের অনেকে মারা গেছেন এবং কেউ কেউ ধরা পড়ে সিরিয়া বা ইরাকের বন্দিশালায় আছেন। এর বাইরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনেক বিদেশি নাগরিক সিরিয়ায় গেছেন।

 এসএস