বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের একটি সংক্ষিপ্ত ও প্রাণবন্ত ভার্চুয়াল বইপাঠ সভা সোমবার সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয়।
ভারত ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক এবং ব্যক্তিগণ বইয়ের নির্বাচিত অনুচ্ছেদ বিষয়ে আলোচনা করেন। এদিন সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানে ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এই বইপাঠ সভার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ সভা উদ্বোধন করেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানে একজন সাহসী নেতা, একজন দৃঢ়চেতা মানুষ, একজন ঋষিতুল্য শান্তিদূত; একজন ন্যায়, সাম্য ও মর্যাদার রক্ষাকর্তা, একজন পাশবিকতা বিরোধী এবং যে কোনও জোরজুলুমের বিরুদ্ধে একটি ঢাল।’
তার বক্তব্যের পরে, অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে পাঁচটি অনুচ্ছেদ পাঠ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর সাহসিকতা ও বাংলাদেশের উন্নয়নে তার অবর্ণনীয় অবদান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় আরো অংশ নেন- ড. ফকরুল আলম, ইউজিসি অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এবং অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ইংরেজি ভাষার অনুবাদক।
ড. রাজগোপাল ধর চক্রবর্তী, বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান স্টাডিজ বিভাগ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, সৈয়দ বদরুল আহসান।
ড. শুভায়ু চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বভারতীর ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক এবং মিস সাদাফ সাজ, কবি, উদ্যোক্তা এবং ঢাকা লিট ফেস্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। পুরো অধিবেশনটি পরিচালনা করেন আইজিসিসি ঢাকার পরিচালক শ্রীমতী নীপা চৌধুরী।
এস এস