ন্যাভিগেশন মেনু

আখরোট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস’ ও প্রদাহের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়


প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ে ঘটে চলেছে শিশু, কিশোর, যুবা এবং বৃদ্ধ। এই বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে মস্তিষ্কের জ্ঞান আহরণের ক্ষমতা কমে যায়। এই কমে যাওয়ার হার কমাতে কাজে আসবে আখরোট, তবে সবার ক্ষেত্রে নয়।

‘আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিয়েশনে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, স্বাস্থ্যবান প্রবীণরা দীর্ঘ দুই বছর নিয়মিত আখরোট খাওয়ার পরও তাদের মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্ষমতার ওপর এর কোনো উপকারী প্রভাব খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তবে যারা ধূমপায়ী এবং ‘নিউরোসাইকোলজিক্যাল টেস্ট’য়ে যাদের ফল বরাবরই কম ছিল তাদের ক্ষেত্রে আখরোটের উপকারী প্রভাব দেখা গেছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। 

যুক্তরাষ্ট্রের লোমা লিন্ডা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং এই গবেষণার অন্যতম গবেষক জোয়ান সাবাট বলেন, আমাদের গবেষণাটির ফল হয়তো সামান্য, তবে আরও বেশি মানুষের অংশগ্রহণে এবং আরও দীর্ঘসময় নিয়ে এ বিষয়ে গবেষণা করা হলে আরও ফল আশা করা যায়। তাই ভবিষ্যতে এ বিষয়ে বিস্তর গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য।

এই গবেষণার আওতায় পর্যবেক্ষণ করা হয় ৬৪০ প্রবীণকে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লোমা লিনডায়ের বাসিন্দা ছাড়াও ছিলেন বার্সেলোনা, কাতালোনিয়া ও স্পেনের বাসিন্দা।

দুই বছর অংশগ্রহণকারীদের মধ্যকার একদল (টেস্ট গ্রুপ) নিয়মিত আখরোট খেয়েছেন, অন্যদল (কন্ট্রোল গ্রুপ) আখরোট বর্জন করেছেন।

আখরোটে থাকে ‘ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড’ এবং ‘পলিফেনল’ যা গবেষণা অনুযায়ী ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস’ ও প্রদাহের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। আর এই দুটি সমস্যাই মূলত বয়সের সঙ্গে মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্ষমতা কমে যাওয়ার পেছনে দায়ী।

গবেষকদের মতে, জ্ঞানীয় ক্ষমতার ওপর বাদামের প্রভাব নিয়ে করা এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বড় এবং নিয়ন্ত্রণাধীন গবেষণা। বাদামে বিশেষত, আখরোটে পাওয়া গেছে কোলেস্টেরল কমানোর সহায়ক বৈশিষ্ট্য।

গবেষণাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মিডিসিন’ শীর্ষক জার্নালে।

এস এস