ন্যাভিগেশন মেনু

শুধু ধর্ষণই নয়, কাটাছেঁড়া মরদেহের সঙ্গে সেলফিও তুলতো মুন্না


রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণের জঘন্যতম অপরাধে গ্রেপ্তার মুন্না শুধু ধর্ষণই নয়, কাটাছেঁড়া মরদেহের সঙ্গে সেলফি তুলার প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি।

দুই-তিন বছর ধরে মুন্না মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিলো। এ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) তাকে আটক করে সিআইডি। পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে মুন্নার কুকীর্তির সব ঘটনা। 

মুন্না ভগত সোহরায়ার্দী হাসপাতালে নিয়োগ পাওয়া কোনও ডোম নয়। মামা রজত কুমারের সহকারী হিসেবে সে সেখানে কাজ করতো।

সিআইডির কর্মকর্তাদের মুন্না জানিয়েছে, গত চার বছরে ৩ হাজার মৃতদেহ কাঁটাছেড়া করেছে সে। তার মোবাইল ঘেটে মানসিক বিকৃতির আরও প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি।

সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, 'মুন্না মৃতদেহের সঙ্গে সেলফি তুলতো। এক্ষেত্রে তার পছন্দের তালিকার শুরুতে ছিল তরুণীদের লাশ। এ ছাড়া সে নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মানো শিশুদের মৃতদেহ তুলে ধরেও সেলফি তুলত। বুক চেড়া, পেট ফাঁড়া মৃতদেহের ভিডিও করতো সে।'

সাধারণ মানুষ যে কোনও মৃতদেহকেই সম্মান করে। তবে মুন্না সব মৃতদেহ সমান নজরে দেখতেন না।

সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, মুন্নার কাছে কম বয়সী তরুণীদের মৃতদেহ হলো ‘ভালো’ লাশ। আর বয়স্ক নারী ও পুরুষদের লাশ হলো ‘খারাপ’ লাশ।

সিবি/এডিবি