ন্যাভিগেশন মেনু

আজ কবিগুরুর ৭৮তম প্রয়াণ দিবস


“চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর, আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী’ বসুধারে রাখে নাই খন্ড ক্ষুদ্র করি”

হাজারো সাহিত্য কর্মে আজও বাঙ্গালীর মনে বেঁচে আছেন  বাংলা সাহিত্য জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

আজ মঙ্গলবার বাইশে শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৮তম প্রয়াণ দিবস। ১৯৪১ সালে ( ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ ) জোড়াসাঁকোর নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

প্রয়াণ দিবসে সারাবিশ্বের বাঙালীরা শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সঙ্গে স্মরণ করছে কবি গুরুকে। নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যেমে প্রকাশ পাবে কবির প্রতি হৃদয়ের অনুরাগ।

বাংলা একাডেমিতে আজ বিকেল ৪টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে একক বক্তিতা দেবেন অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক।

কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা অসাধারণ সব কবিতা ও গান, আজও প্রত্যেকটা বাঙালীর মন কাঁড়ে। তিনি শুধু একজন শ্রেষ্ঠ গল্পকারই ছিলেন না, সেইসাথে ছিলেন একজন  ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিকও।

আরো পড়ুন : 

ইছামতীর পাড়ের নেত্রী নুসরাত

মাত্র আট বছর বয়স থেকেই তিনি কবিতা লেখা শুরু করেছিলেন।

তিনি ভারতীয় সাহিত্য ও কলায় বিপ্লবের উদ্দেশ্যে, বাংলায় নবজাগরণ আন্দোলন শুরু করেছিলেন। বিখ্যাত সিনেমা পরিচালক সত্যজিৎ রায়, রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক কর্মকান্ডে বিশেষভাবে প্রভাবিত হন। রবীন্দ্রনাথ একজন মহান সুরকারও ছিলেন। তিনি প্রায় দুই হাজারেরও বেশি গান নিজে রচনা করেছেন।

১৯৪০ সালে কবি গুরুকে “ডক্টরেট অব লিটারেচার” সন্মানে ভূষিত করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বিদেশে তাঁর রচিত গীতাঞ্জলী কাব্য, বিশেষ জনপ্রিয়তা পায়। সেই সুবাদে তাঁকে ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দিয়ে সন্মানিত করা হয়। ১৯১৫ সালে তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক নাইট উপাধি পান।

এছাড়া, ১৯৩০ সালে রবীন্দ্রনাথের আঁকা একটা ছবি, প্যারিস ও লন্ডনে প্রদর্শিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাপানের ডার্টিংটন হল স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ৭ই মে ১৯৬১ সালে, ভারতীয় ডাকবিভাগ সম্মান জ্ঞাপনের উদেশ্যে; তাঁর ছবি দেওয়া একটা ডাক টিকিট প্রকাশ করে। সাহিত্যের এমন কোন স্থরনেই যেখানে তাঁর স্পর্শ নেই। তাঁর অভাব পূরন হবার না।


 এস এ/এমআইআর