ন্যাভিগেশন মেনু

আগাম জাতের শিম চাষ করে লাভবান আটঘরিয়ার কৃষকরা


মাসুদ রানা, পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের রামেশ্বর, দূর্গাপুর, রামচন্দ্রপর, নাদুরিয়া, পারখিদিপুর, খিদিরপুর, গোকুলনগর এলাকায় আগাম জাতের রুপবান, চকলেট শিম ক্ষুদ্র শিম চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। তারা আগাম শিমের আশানুরূপ দাম পেয়ে বেশ খুশি।

অন্যদিকে চাষীদের কাছ থেকে শিম কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়িরা। 

আগাম জাতের শিম সম্পর্কে জানতে চাইলে কৃষক আলহাজ আলী বলেন, শিম গাছ ও পাতা সবুজ ফুল ও ফল রঙিন যাকে বলা হয় রূপবান শিম, গাছে গাছে বেগুনি ফুলের অপরূপ সমারোহ আর আকাবাকা লতা গাছই যেন একে রূপবান শিমের নাম দিয়েছে। 

সাধারনত শীত মৌসুম ছাড়া বছরের অন্য সময়টাতে শিম চাষ না হলেও শিম রাজ্য হিসেবে খ্যাত আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই এলাকার কৃষকের কাছে। এই এলাকায় রূপবান শিম চাষে কৃষকের মুখে এখন হাসি আর হাসি।

রূপবান শিম চাষি আলহাজ বলেন, মাজপাড়া এলাকায় আমার মতো অনেকেই রূপবান চাষে ঝুঁকছেন। যা এলাকায় চোখে পড়ার মতো। এ বছর আমি রূপবান শিমের বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বাবদ প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছি। আমি প্রতি বছর দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা শিম বিক্রি করি। এবছরও আমি ফলন ও দামের প্রতি আশাবাদী। 

তাদের প্রতেক্যই অতিতের মতো বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। রূপবান শিমের দামও বেশি। দাম ও ফলনকে প্রাধান্য দিয়ে রূপবান শিম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার কৃষকরা। তবে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও পরামর্শ পেলে রূপবান চাষি বাড়বে বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার রোখশানা কামরুনাহার বলেন, আটঘরিয়া উপজেলা পাঁচটি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় বর্তমানে এবছর ১৫৫০ হেক্টর জমিতে শিমের চাষ হয়েছে। গত বছর ১৬৮৭ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়। তবে এই উপজেলার ১৫০০ জন কৃষক এই শিম আবাদের সাথে জড়িত। তবে আগাম জাতের শিম বর্তমানে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে কৃষক।

তিনি আরও বলেন, শিম উৎপাদন বৃদ্ধি করতে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে সব সময় কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ভালোভাবে বর্ষা মৌসুমে শিমের বীজ সংগ্রহ করতে পারলে আগামীতে এ জাতীয় শিমের চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।  অটো, চকলেট ও রূপবান শিম চাষে খরচ তুলনামূলক বেশি হলেও এ শিমের বাজার দরও বেশি। ফলে কৃষকরাও শিমে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

এমআইআর/এডিবি