ন্যাভিগেশন মেনু

কৃষি আইন প্রত্যাহারের অভিমত নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের


নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এবার কৃষি আইন  নিয়ে পরোক্ষে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুললেন । তাঁর মতে, মহামারীর পরে অর্থনীতি নিয়ে চারিদিকে যখন এত সংশয়, তখন কৃষি আইন কার্যকর করাটা একেবারেই বুদ্ধিমানের পরিচয় নয়।

নোবেলজয়ী অভিজিৎ মনে করছেন, এই মুহূর্তে বহু মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই সরকারের উচিত আপাতত যতদিন না সংসদে এই আইন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, ততদিনের জন্য তা প্রত্যাহার করে নেওয়া।

কৃষি আইন সম্পর্কে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলছেন,”আমি বলব এই মহামারীর আবহে এই আইন কার্যকর করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। অনেক কৃষকই বুঝতে পারছেন না, এরপর ফসলের দাম কেমন হবে।

মনে হচ্ছে যেন অর্থনীতি অবাধ পতনের মুখে। এই বৃহত্তর অর্থনৈতিক বিষয়গুলি মানুষকে আরও নিরাপত্তাহীন করে তুলছে।”

অভিজিৎবাবু মনে করছেন, সরকারপক্ষ এবং কৃষকদের মধ্যেকার আলোচনা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে, কারণ দু’পক্ষের মধ্যে বিশ্বাসের জায়গায় চিড় ধরেছে। তিনি বলছেন,”এর দুটো কারণ। প্রথমত, সরকারের যে প্রস্তাব, তা পুরোপুরি মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না। কৃষকরা ভাবছেন, এক বা দু’জন কর্পোরেট যদি আমাদের কুক্ষিগত করে ফেলে তাহলে কী হবে? সে তো অনেক কিছুই হতে পারে।

কিন্তু সরকারকে বোঝাতে হবে, এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে সামাল দেওয়ার জন্য কী পরিকল্পনা তারা করেছে।অভিজিৎবাবু মনে করছেন দ্বিতীয় কারণটি আরও ভয়ঙ্কর। তাঁর মতে,”এই মুহূর্তে সরকারের উপর থেকে মানুষের আস্থা নেই। সরকার তো যা করছে, আমাদের ভালোর জন্যই করছে। কিন্তু মানুষ সেটা ভাবতে পারছে না। আর সেটার কারণও আছে।”

তাহলে এখন সরকারের কী করণীয়? নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলছেন, সাময়িকভাবে হলেও এই আইন প্রত্যাহার করা উচিত সরকারের। তাঁর কথায়,”মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। উৎপাদন এবং চাহিদার মধ্যে ফারাক এখন বিস্তর।

এখন সরকারের উচিত কৃষকদের বলা, যে আপনাদের কথা আমরা শুনলাম। আপনাদের সঙ্গে আমরা একমত নই। তবে, আপনাদের কথাকে গুরুত্ব দিয়ে যতদিন না সংসদে এই আইন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, ততদিন এটাকে প্রত্যাহার করা হল।”

 এস এস